
কালের খবরঃ
শীতের জরাজীর্নতাকে ঝেড়ে ফেলে ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই গোপালগঞ্জে পলাশ ফুলের রঙিন পাঁপড়িতে নতুন সাজে সেজেছে প্রকৃতি। ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই পলাশ ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্যে জানান দিচ্ছে বসন্ত বুঝি এসে গেছে । পলাশ ভালবাসা দিবসকেও যেন রাঙিয়ে তুলছে। তবে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা চোখ ধাঁধানো গাঢ় আগুন রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত বসন্তের রুপকন্যা পলাশ ফুল নগরায়নে বিলুপ্তপ্রায়।
“ও পলাশ ও শিমুল-কেন এ মন মোর রাঙালে-জানিনা জানিনা আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে”-ভারতীয় কন্ঠশিল্পী লতা মুঙ্গেশকরের এ গানটিই বুঝিয়ে দেয় এ ফুলগুলো কতটা হৃদয়ে দোলা দেয়। বসন্তের শুরুতেই যেন প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে হেঁসে উঠে পলাশ। প্রকৃতির এই অপরূপ রঙের সাজ দেখে যেন যেকোন মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখির কলকাকলিতে বসন্তের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ডাকে আপন সুরে। ঋতুরাজের রূপ দেখে প্রকৃতি প্রেমী, প্রেমিক-প্রেমিকাসহ মোহিত প্রাণীকূলও মেতে উঠে মিলনের আনন্দে।

পলাশ ফুল প্রেমিকযুগলদের আকৃষ্টি করলেও সিঙ্গলদের ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়ায়। পলাশের আগুন ঝড়ানো রং মনে দাগকাটে প্রেমিক বা প্রেমিকাদের।তাইতো তারা ছবি তোলা থেকে বঞ্চিত হন না। তবে গোপালগঞ্জে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে, হালটে একসময় পর্যাপ্ত পলাশ গাছ দেখা যেত। এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। তাই প্রকৃতির সৌ্ন্দয্য ধরে রাখতে পলাশ গাছ না কাটার পাশাপশি এ ফুলের গাছ লাগানোর দাবী প্রকৃতি প্রেমিদের।

গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবির বাংলা বিভাগের সভাপতি, মো. আব্দুর রহমান বলেন, আধুনিকতা আর নগরায়ণের ছোয়া পলাশ গাছ কেটে ফেলায় আর বীজ বপন না করায় এসব গাছের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। ফলে পাখিরা তাদের আবাসস্থল হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে। তাই ফলজ ও বনজ গাছের পাশাপশি সৌন্দয্যবর্ধ গাছ লাগানোর আহবান বাংলা বিভাগের এই শিক্ষক।
বৈশ্বিক দুষন আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধিরে ধিরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র আর সৌন্দয্যকে। প্রকৃতির স্বরূপ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ব্যাপক বৃক্ষ রোপন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION