কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগেই দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মঞ্চে ওঠা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা ইমন নিজামী ও শাহাবুদ্দিন দাঁড়িয়ার সাথে কথা কাঁটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে এই দুই নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।এতে ইমন নিজামী, শাহাবুদ্দিন দাড়িয়াসহ ৫জন আহত হয়।
এ ঘটনায় ইমন নিজামীর ভাই আলী হাসান রিফাত গত ১ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়াসহ ছাত্রলীগের ১৮ নেতা-কর্মীকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগের একাংশ। এসব কারণে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সাধারন নেতাকর্মিরা।
এর আগে গত বছরের ২৯ জুলাই কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি স্বপন তালুকদারকে সভাপতি ও সাবেক জি.এস শামিম দাড়িয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও এই কমিটি কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।
কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাইনুল হোসেন রিমু বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়া বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বলে আমি শুনেছি। তবে কেন করেছে তা আমার জানা নেই। আমাদের কোন ভুল থাকলে সে বিষয়ে জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটি কারণ দর্শানো কোন নোটিশ দেয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি যদি সত্যিই আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করে থাকে তাহলে আমি বুঝে নিবো আমরা দুজন অপরাজনীতির শিকার।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আমীর হামজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান গ্রহন করে। এ নিয়ে মামলার ঘটনাও ঘটে।যা কাম্য নয়। সংগঠণকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বলে আমার ধারণা।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আমার কোন আলোচনা হয়নি।তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সাংবাদিকদেরকে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা আনার লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আগামী দিনের রাজনীতি হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্য একটি সাংগঠনিক মডেল উপজেলা। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ উপজেলায় সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply