কাশিয়ানী প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আপন শেখ (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সে কাশিয়ানী উপজেলার বাঘঝাপা গ্রামের তুহিন শেখের ছেলে এবং কাশিয়ানী উপজেলা সদরের জিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহত আপনের ৪ বন্ধুকে আটক করে থানায় এনছেন।
নিহতের বাবা তুহিন শেখ জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে মাগরিফের পর আপন শেখকে মোবাইলে গেম খেলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বন্ধু খায়রুল,সোহেল, স্বাধীন ও মেহেদী। আধাঘন্টা পরে শুনি আপনের অবস্থা খারাপ। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার ছেলে মৃত।রে মাথায়যেভাবে আঘাতের চিহৃ তাতে মনে হচ্ছে এটা পরিকল্পিত হত্যা। এই হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, আপনসহ ৪/৫ বন্ধু বাড়ির পাশে মধুমতি নদীর উপর রেল ব্রীজে যায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে দুই বন্ধু ব্রীজের নিচে পানির মধ্য থেকে অজ্ঞান অবস্থায় আপনকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরতঃ চিকিৎসক তাকে মৃতঃ ঘোষনা করেন। তবে নিহতের মাথায় তিনটি স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। আজ বুধবার (১৯ জুন) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপন শেখের চাচা শাহিন শেখ বলেন, বিকেলে মোবাইলে ফোন করে আপনকে ডেকে নিয়ে রেল লাইনে যায়। পরে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর রাত ৮টার দিকে বন্ধুরা বলে ওকে পাগলে মারছে। তখন আমার সন্দেহ হয়। কারন ওখানে কোন পাগল নাই। আমি নিজে আপনের মাথায় দেখলাম তিনটি স্থানে কাটা আঘাত। তখন ওরা বলছে আপনকে পাওয়া গেছে পানির মধ্যে। আমার ধারনা ওকে মেরে পানির মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। পরে আপনকে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে আনা হয়। ওকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকারীদের বিচার দাবী করি।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোঃ জিল্লুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, নিহতের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি ব্রীজের উপর গল্প করার সময় পাগলে ধাওয়া দিলে সে ব্রীজ থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মারা যায়। মৃতের লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।এখনও কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করা হয়েছে।ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply