কালের খবরঃ
পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার প্রশান্ত কুমার দাস। নিজে হাটাচলা করতে পারেন না। অন্যের সাহায্যে চলাফেরা। প্রায় একবছর আগে ব্রেইন স্টকে আক্রান্ত হয়ে তিনি শয্যাশায়ী । চিকিৎসা করাতে তার টালমাটাল অবস্থা। যা কিছু অর্থ ছিল সবই ব্যায় করেছেন চিকিৎসায়। একটি হুইল চেয়ার কিনে চলাফেরা করবেন এমন আর্থিক সংগতি তার নেই। দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে শুয়ে অসহায়ের মতো কাটছিল তার জীবন যাপন।
বুধবার (১লা নভেম্বর) বড় ভায়ের ছেলে উত্তম দাসের সহযোগীতায় এসেছিলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবল আলম-এর কাছে গন শুনানীতে। জেলা প্রশাসক তার অহায়ত্যের কথা শোনেন এবং অবস্থা বিবেচনা করে তাতক্ষনাত একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন।
শুধু প্রশান্ত কুমার দাসই নয় এভাবে নানা সমস্যা নিয়ে প্রায় ১৫০ মানুষ গনশুনানীতে হাজির হন। এর কেউ চিকিৎসা সহায়তা, কেউ পরীক্ষার ফি দিতে না পারা, পরিবারের আর্থিক সমস্যা , স্কুল কলেজের ভর্তি ফি, আবারকেউ জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা সহ নানা সমস্যা নিয়ে। জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম সারাদিন তাদের এসব সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে যেসব সমস্যা দূর করা যায় তা সমাধান করে দেন। গনশুনানীতে আসা লোকজন তাদের সমস্যার তাতক্ষনিক সমাধান আর আশ্বাসে খুশি মনে বাড়ি ফিরে যান।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক প্রতি বুধবারই গনশুনানীতে অংশ নিয়ে জেলার সাধারন মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে থাকেন। তাদের নানা সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ইচ্ছাতো করে অনেক কিছু করার, কিন্তু সাধ্যতো তেমন থাকেনা। তাই যতটুকু সামর্থ তার মধ্যে করার চেষ্টা করছি।
গনশুনানী চলাকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) , মোঃ গোলাম কবির, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার রন্টি পোদ্দার সহ সমাজ সেবা অফিসের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply