
কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে দিনে শিথিল রাতে কারফিউ। দিনে শিথিল থাকায় জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সড়কে রিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ীসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল অন্যসব দিনের মত স্বাভাবিক ছিল। জেলার অভ্যন্তরে ও দুর পাল্লার বাস ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। আবার ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের গণপরিবহণ আসছে। অফিস আদালত খোলা থাকায় সেবা প্রত্যাশী মানুষদের আনাগোনা ছিল চোখেপড়ার মত। কারফিউর পঞ্চম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ঘন্টা কারফিউ শিথিল রাখে প্রশাসন। এসময় গোপালগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারের দোকানপাট খোলা ছিল। ব্যবসায়ীদের স্বাচ্ছন্দে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। শহরের ফুটপাতে অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ভ্যানগাড়ীতে আম, কাঁঠাল, আনারস,পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের পন্য বেচাকেনা করেছেন। বলতে গেলে গোপালগঞ্জে কারফিউর কোন প্রভাবই পড়েনি।

চা দোকানী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কারফিউ যখন চলে তখন দোকান বন্ধ রাখতে হয়। যেহেতু গোপালগঞ্জে কোন সমস্যা নেই। তাই আমাদের দোকান সব সময় খোলা রাখলে সুবিধা হয়। প্রশাসনের কাজে গোপালগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবী জানাই।
মিষ্টি ব্যবসায়ী রতন বিশ্বাস বলেন, দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় আমাদের দোকান কিছু দিন বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন যে সময় কারফিউ শিথিল থাকে সেসময় দোকান খুলে বেচাবিক্রি করি। ঠিকমত মিষ্টি তৈরী করতে পারছিনা। ভয়ে থাকি কখন আবার প্রশাসন দোকান বন্ধ রাখতে বলবে। তখন মিষ্টি নষ্ট হয়ে যাবে।যেহেত ুগোপালগঞ্জে কোন সমস্যা নেই তাই কারফিউ তুলে দিলে ভালো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে গোপালগঞ্জে কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। ফলে গোপালগঞ্জের পরিবেশ অন্যসব স্থানের থেকে শান্ত ছিল। এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। এই কারনে প্রতিদিন কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে। দেশ স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলেনেয়া হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION