
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শিক্ষক দ্ব›দ্ব ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরমভাবে বিঘœ ঘটছে। এসব কারণে তাড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসির ফলাফলেও প্রভাব পড়ছে। গতকাল রবিবার (৭ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তারাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির দুই প্রতিনিধি সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তারা সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জোর দাবী জানান। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় এলাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করেন তারা।
গোপালগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরাম অফিসের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির দুই প্রতিনিধি মো. সাহের মোল্লা ও আরজ আলী বলেন, গত ৯ জুন তারাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সাধারন অভিভাবক ক্যাটাগরিতে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক ক্যাটাগরিতে ১ জন, সাধারন শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ১ জন সহ মোট ৮ জন নির্বাচিত হন।
কিন্তু গত ১৩ জুন অভিভাবক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত মো. সাহের মোল্যা, আরজ আলী ও সাধারন শিক্ষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত মো. ফোরকান শরীফকে না জানিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্র মোহন বিশ্বাস গোপনে কাজী জহির আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে সভাপতি বানিয়ে কমিটি বোর্ডে প্রেরণ করেন।
পরে গত ২৫ জুন প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের ধারা ১৩ এর উপধারা ৩ এ বলা আছে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের সভায় নির্বাচিত সদস্যগনের দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে। অথচ উক্ত সভায় ৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রিজাইডিং অফিসার ৫ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাজী জহির আহম্মেদকে সভাপতি বানিয়েছেন যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি।
তারা আরো বলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্র মোহন বিশ্বাস ভোটার তালিকা প্রস্তুতকালে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। এর মধ্যে মৃত ব্যাক্তিও রয়েছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা-এর চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাশিয়ানীকে লিখিতভাবে অবগত করেছেন। এছাড়া উক্ত বিষয় নিয়ে গত ১৮ জুন সাহেব মোল্লা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যার নং ১৬৫/২৪।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্র মোহন বিশ্বাস বলেন,ভোটার তালিকায় ২/৩জন ভোটার মৃত বলে পরবর্তিতে জানতে পেরেছি। এটা ভুলকরে হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন বৈধ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর কারনে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরোধীতা করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিচ্ছেন। আর শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট নিয়ে প্রশ্নকরা হলে তিনি বলেন, এলাকাটিতে অনুন্নত ও মৎস্য শিকারীদের বসবাস। পূর্বের থেকে এভাবেই রেজাল্ট হয়ে আসছে। অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখতে হয়।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION