
কালের খবরঃ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও বৃষ্টিপাতের কারনে ৪০০ ঘর প্লাবিত ও সহস্রাধিক মাছের ঘের ভেসে গেছে। উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে শুকনা ও রান্না করা খাবার বিতরন করেছে। রবিবার (২৬ মে) বিকেল থেকেই জেলার সর্বত্র বৃষ্টি আর সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।তা অব্যাহত থাকে সোমবার (২৭মে) সারারাত। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা ও বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।

এছাড়া বৃষ্টিও ঝড়ো হাওয়ার কারনে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমানে গাছপালা ভেঙ্গে গেছে।অনেক স্থানে গাছ ভেঙ্গে ঘরের উপর পড়ায় তাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া নিন্মাঞ্চল হওয়ায় এই দুই উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে।বিদ্যুত এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ে। যে কারনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো পর্যন্ত নিরুপন করা বা সঠিক খবর জোগাড় করা সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জানিয়েছেন।

তবে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক জানিয়েছেন, সাড়ে তিনশত বাড়ি-ঘরে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। প্রায় ৪০০ লোককে বাঁশবাড়িয়া হাই স্কুল, পাটগাতি স্কুল, সরদারপাড়া স্কুলে আশ্রয় দেয়া হয়। ১হাজারেরও বেশী মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবারও বিতরন করা হয়েছে।ইতো মধ্যে পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নেমে গেলে আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দাদের তাদের পরিবারে পৌছে দেয়া হবে।

এদিকে, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনুর আক্তার জানান, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেক জায়গায় তারা খোঁজ খবর পুরাপুরি নিতে পারেননি।তবে যতটুটু জানাগেছে সেটা হলো বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। কিছু মাছের ঘের ভেসে গেছে।রিমালে ক্ষয়ক্ষতি নিরপনে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ কৃষি বিভঅগ সূত্রে জানাগেছে,জোয়ার ও বৃস্টির পানিতে আউস ধানের বীজতলা, শাকসব্জি ও পাট, তিল ও মুগের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃস্টি হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । পরিমান নিরুপনে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। অন্যদিকে জেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাভাবিক হলেও উপজেলা বা গ্রামঞ্চলে এখনও পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে পারেনি।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রিমালের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু গাছ পালা ভেঙ্গে পড়েছে। কাঁচাঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া নিন্মাঞ্চল হওয়ায় এই দুই উপজেলায় বেশকিছু পরিবার পানি বন্ধী হয়ে পড়ে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে এনে খাদ্যসহায়তাসহ সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাজারও বেশী মৎস্যঘের পানির তোড়ে ভেসে গেছে বলে জানতে পেরেছি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে। তালিকা প্রস্তুত করে ঢাকায় পাঠানো হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION