কালের খবরঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো-তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে আমি ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে খোঁজ খবর নিতে বলেছি। ইতিমধ্যে অনেক ডাক্তারকে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশ জুড়ে প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। এ সময় বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা ডায়রিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সকল সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেয়া আছে, এখন সাধারন রুগী ভর্তি না করে সিট ফাঁকা রাখার জন্য। যাতে তাপদাহে আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়া যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। ষ্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। পরে তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডে এর প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শংকর কুমার ঘোষ, অধ্যক্ষ ডা. অমল চন্দ্র পাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস, সিভিল সার্জনমোহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply