টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কুশলি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এদিন বেলা ১১ টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বেলায়েত হোসেন সরদার কুশলি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহাম্মেদ আলী বিশ্বাস এসবতথ্য নিশ্চিত করেতিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ মামলায় বেলায়েত হোসেন এক নম্বর আসামি ছিলেন। আজ বুধবার বেলা ১১ টায় তাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার সহ ৬১ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিজ বাড়িতে আসার কর্মসূচি ছিল। ঐদিন বিকাল ৪ টায় তার গাড়ি বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। পরে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ফিরে যান।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে স্বাগত জানানোর জন্য টুঙ্গিপাড়ার কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজারে অবস্থান করছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। তখন ঘোনাপাড়ার ঐ মারামারির ঘটনাটি জানাজানি হলে কুশলীর আওয়ামী লীগ নেতারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এছাড়া এসএম জিলানীকে স্বাগত জানানোর তোরণ ফেস্টুন ভাংচুর করে।
এর আগে একই মামলায় গত রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলার দুই নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মিজান সিকদারকে (৫৫) উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply