কালের খবরঃ
আজ বিশ্ব মা দিবস। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দটি হচ্ছে ‘মা’। যার কল্যাণে মানুষ পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পায়। সেই মমতাময়ী মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়।
সত্যিকার অর্থে কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো যায় না, মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসা থাকে প্রতিদিনই।
‘মা’ মাত্র এক অক্ষরের শব্দটির মধ্যে যে গভীরতা ও ভালোবাসা-তা অন্য আর কোনো শব্দের মধ্যে যেন নেই। মা হলো চিরন্তন এক আশ্রয়ের নাম। মা শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। জন্মদাত্রী মায়ের কাছ থেকে একজন মানুষ যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পায় তা পৃথিবীতে অন্য কারও কাছ থেকে পায় না।
মা তো মা-ই ! রোজ মা-কে ভালোবাসি! রোজ মা আছে! রোজ মা তো আমারই ! -এই নিয়ে এত মাতামাতি এগুলো সব নিগমিত ব্যবসাহিক সংস্কৃতি (corporate business culture) ! মার অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়৷ তিনি আমাদের গর্ভধারিনী, জননী৷
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর একমাত্র নাম মা! স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার স্থান হলো মা। মা সবসময় সন্তানের বিপদে, কষ্টে, হাজারো যন্ত্রণায় একমাত্র ভরসাস্থল। সন্তানের কাছে মার চেয়ে আপন ও প্রিয় আর কিছু নেই। সন্তানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হচ্ছে মা। বস্তুত: মা একজন সন্তানের অধিক মর্যাদাবান ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। এই সুন্দর বিশ্বচরাচরে সন্তানের জন্য মায়ের মতো আপনজন আর কেউ নেই। মা সর্বাবস্থায় সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। মানব সন্তান সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। মা তখন তার আপত্য মায়া-মমতা ও স্নেহ-যত্ন দিয়ে লালন-পালন করে তিলে তিলে বড় করে তোলেন। সন্তানের ভালোর জন্য মায়ের চিন্তা সারাক্ষণ।
সন্তানের জন্য গর্ভধারিণীকে বিশেষভাবে ভালোবাসার কোনো বিশেষ দিন প্রয়োজন হয় না। দিন ক্ষণ ঠিক করে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না। মায়ের জন্য প্রেম-ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। তার পরও নানা সূত্রে মায়ের অপার মহিমা তুলে ধরারও একটি মাহেন্দ্রক্ষণ এই ‘মা দিবস’। মাথায় আঁচল ঢাকা সাদাসিধে হাসি হাসি মুখটা মায়ের। পৃথিবীর কোনো কষ্টই তাকে ছোঁয় না। সব সময় সন্তানের জন্য সব করতে প্রস্তুত একজন মানুষ। সন্তানকে বুকে টেনে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়ার এক অদ্ভূত ক্ষমতা তার আঁচলের ছায়ায়। তাই মায়ের স্থান অনন্য।
প্রতিটি সন্তানের প্রতিদিনের ভাবনা– “জননী আমার তুমি, পৃথিবী আমার, তোমার চরণ ছুঁয়ে বন্দনা গাই, হাজার বছর পরে যদি আমি আসি ফিরে তোমারই কোলেতে পাই যেন ঠাঁই, মা গো!”
লেখকঃ ফিরোজ কবির(ব্যাংকার)
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply