কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে গতকাল রবিবার ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় স্নানোৎসব ও বারুনী মেলা। স্নান ও মেলা চলে রবিবার বিকাল পর্যন্ত। লাখ লাখ মতুয়া ভক্তের পদভারে মুখরিত হয় ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ি অঙ্গণ। প্রতি বছর শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে ঠাকুর বাড়িতে স্নানোৎসব ও বারুনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়িতে আসেন এবং পূঁজা অর্চনা করেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বিশ্ববাসির মধ্যে ঠাকুর বাড়ির নাম আরো ব্যাপকতা পায়।
স্নান ও মেলা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানাগেছে, রবিবার (১৯ মার্চ) ভোররাত পৌনে ৪ টায় হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরীরা কামনা সাগরে (বড় পুকুর) স্নান করে এই উৎসবের উদ্ভোধন করেন।
উৎসব সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় সুউচ্চ পর্যবেক্ষন চৌকি ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের প্রায় তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসবক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে লাখ লাখ মতুয়াভক্ত ও হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা এখানে স্নান করতে আসেন। তারা পাপ মোচনের জন্য এই স্নান করে থাকেন। স্নানোৎসব উপলক্ষে এখানে প্রতিবছর বসে বারুনী মেলা। মেলায় কুঠির শিল্প সামগ্রী, বিভিন্ন খেলনা, মাটির তৈরী তৈজসপত্র, বাঁশের জিনিস, তালপাখা, মিষ্টি মন্ডা, খাদ্য সামগ্রী, নাগর দোলনাসহ শিশুদের বিনোদনের জন্য নানা আয়োজন রয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য সুব্রত ঠাকুর বলেন,শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ফাল্গুন মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম আবির্ভাবোৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশ, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মতুয়া ভক্তের আগমন ঘটে ঠাকুর বাড়িতে। স্নানোৎসবে যোগ দিতে হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত ও অনুসারীরা দূর-দূরান্ত থেকে ইতোমধ্যে ঠাকুর বাড়িতে সমবেত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন,স্নানোৎসবকে ঘিরে ঠাকুর বাড়ির আশপাশ এলাকায় প্রায় ৬০ একর জায়গা জুড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply