
কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের ডুমরিয়া-সড়াবাড়ি সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে শৈলদহ নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হককে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ্য গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন। দ্রুত এই অবস্থা থেকে গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ কিভাবে লাঘব করা যায় সে ব্যাপারে তাদেরকে আশ্বাস দেন এবং সংশ্রিষ্ট বিভাগকে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গ্রামীন এই সড়কটি পানির তোরে ভেঙে যায়। তারপর থেকে ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।১০ থেকে ১৫ কিলোমিটর ঘুরে তাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে।
ডুমরিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের সুধীর বিশ্বাস বলেন, ডুমরিয়া-সড়াবাড়ি সড়কের চিতলিয়া নামক স্থানে গত বুধবার দুপুরে ফাঁটল ধরে।পরে সড়কটির ২৫০ ফুট শৈলদহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।তারপর থেকে এ সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।এখন ডুমরিয়া, ভৈরবনগর, তারাইল, জামাই বাজার, মামা বাজার, চিতলিয়া, সড়াবাড়ি, পাকুরতিয়া সহ ১০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। তাদেরকে বাঁশবাড়িয়া হয়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।এতে সময় ও অর্থ বেশি ব্যয় হচ্ছে। এ দুর্ভোগ থেকে ১০ গ্রামের মানুষকে বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

একই গ্রামের রহমত মল্লিক বলেন, শৈলদহ নদী ভাঙনে গত ৩০ ডিসেম্বর এ সড়কের ব্রিজ ভেঙে যায়।তারপর ৩০ এপ্রিল সড়ক ভেঙে পড়েছে।এতে লতা বেগমের একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ওই পরিবারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদ্য সহ অন্যান্য সহায়তা করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার অন্ততঃ ২৫টি বসতবাড়ি, গাছপাল, ফসলী জমি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পানি সরবরাহ লাইন নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।তাই দ্রুত নদীর ভাঙন প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিতে হবে।তা’না হলে চিতলিয়া গ্রামের মানুষ সহায় সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে।
চিতলিয়া গ্রামের অমর বিশ্বাস বলেন, এই সড়ক দিয়ে আমরা ডুমরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, বাজারে যাতায়াত করি। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আমরা সহজে যাতায়াত করতে পরছি না। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে। কৃষ মাঠ থেকে ফসল আনতে ভোগান্তী পড়েছে। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
শিক্ষার্থী জাহানারা খানম বলে, এ সড়ক দিয়ে আমরা ডুমরিয়া স্কুলে যাতায়াত করি। কিন্তু সড়ক ভেঙে আমরা দুর্ভোগে পড়েছি।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে জানতে পেরে নদী ভাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শন করেছি। দ্রুত সড়ক ও ব্রীজটি পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। আশাকরি মানুষের দুর্ভোগ দ্রুত লাঘব হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION