কাশিয়ানী প্রতিনিধিঃ
ঈদ আনন্দকে রঙিন করে তুলতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা প্রতিযোগিতা। উপজেলার চাপতা গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগীতায় ছিলো রশি টানাটানি, বালিশ খেলা, হাঁড়ি ভাঙা, তেলমাখা কলাগাছ বেয়ে ওঠা, চেয়ার সিটিংসহ বিভিন্ন গ্রামীন খেলা। এ প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও অংশ নিতে পেরে খুশি শতাধিক প্রতিযোগী। গ্রামীন ঐতিহ্য ধরতে রাখতে আগামীতেও এমন আয়োজনের কথা জানান আয়োজকেরা।
গত শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চাপতা গ্রামের রেল স্টেশন বালুর মাঠে আয়োজন করা হয় এই ঈদ আনন্দ উৎসবের। মাঠের এক প্রান্তে রশি টানাটানি খেলা।অপর প্রান্তে তৈলাক্ত গলাগাছ বেয়ে ওঠা প্রতিযোগীতা। অন্য পাশে হাঁড়ি ভাঙ্গাসহ নানান খেলা। সরেজমিন দেখা গেছে রশির দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে দুই দল যুবক। রশি টেনে যারা নিজেদের কাছে নিয়ে আসতে পারবেন তারাই জয়ী হবেন। দুই দলই পেশি শক্তি প্রয়োগ করে মরনপন চেষ্টা করছে বিজয়ী হতে। শুধু রশি টানাটানি নয় শিশু ও কিশোর প্রতিযোগীরদের চেষ্টা ছিল তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে উপরে ওঠার। এছাড়াও হাঁড়ি ভাঙা, চেয়ার সিটিংসহ বিভিন্ন গ্রামীন খেলার আয়োজন ছিল নারীদের জন্য। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ থাকায় বাড়তি উচ্ছ্বাস যোগ হয়। যা হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতির স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনে।
এ প্রতিযোগীতা দেখতে দুপুর থেকেই দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভীড়। গ্রামের মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে এ খেলাগুলো উপভোগ করেন। বিশেষ করে শিশু ও তরুণদের মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। আধুনিক নেট দুনিয়ার যুগে হারিয়ে যাওয়া এই গ্রামীন খেলার আয়োজন করায় ঘরবন্ধি শিশুরা যেমন আনন্দ উপভাগ করেছে, তেমনি মাদক ও মোবাইল গেমের আসক্তি থেকে কিশোর ও যুবকরা ফিরে আসবে বলে মনে করেন আয়োজক ও দর্শনার্থীরা।
খেলার আয়োজক আব্দুর রহিম খাকি বলেন,হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতির পুনর্জাগরণের উদ্দেশ্যেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।ঈদ পরবর্তি আনন্দ দিতে গ্রামীণ খেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে গ্রামবাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করতে আমাদের এই চেষ্টা। আশাকরি এই আয়োজনের মাধ্যমে এই যুগের মানুষ পুরাতন সংস্কৃতিকে জানতে ও বুঝতে সক্ষম হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply