কাশিয়ানী প্রতিনিধিঃ
নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ (৩৩) নামে এক যুবক। সেই পরিচয় দিয়ে করেছেন বিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ফয়সালের।
সেনা বাহিনীর ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারনার অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিম কার্ড, নগদ ৩৮ হাজার ৮২০ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
গত রবিবার (২৯ জুন) রাতে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের নাওড়া আড়পাড়া গ্রাম থেকে ওই প্রতারককে জনতা আটক করে যৌথবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত ভূয়া সেনা সদস্য হলেন- নরসিংদী জেলার মেহেরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ।
যৌথবাহিনীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত একমাস আগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের নাওড়া আড়পাড়া গ্রামের নায়ন মিয়ার কন্যাকে দেখতে আসে নরসিংদী জেলার মেহেরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ।
পরে ফয়সাল নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে নায়ন মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সে সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্রের একটি সফট কপি প্রদর্শন করেন।
পরে রবিবার (২৯ জুন) রাতে শ্বশুরবাড়িতে এলে আর্থিক সংক্রান্ত একটি বিরোধের সৃষ্টি হয় হলে ফয়সালের বাক্যালাপে স্থানীয়দের সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাকে আটক করে।
সংবাদ পেয়ে কাশিয়ানী আর্মি ক্যাস্পের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়সাল আহমেদকে আটক করে ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে। যৌথবাহিনী এসময় তার কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিম কার্ড, নগদ ৩৮ হাজার ৮২০ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
পরে যৌথবাহিনী ফয়সাল আহমেদকে কাশিয়ানী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং পরে কাশিয়ানী থানার হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচজার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী অভিযুক্তকে আমাদের কাছে রবিবার রাতে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিত্বে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION