কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
প্রচন্ড খরা ও সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাঙ্গির ভালো ফলন হয়নি বলে জানিয়েছেন চাষীরা।এবার বাইরের কোন পাইকার ব্যবসায়ী না আসায় উৎপাদিত বাঙ্গি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।এই কারনে দাম কম পাচ্ছে বাঙ্গিচাষীরা।ফলে কৃষকের মাঝে দেখা দিয়েছে একধরনের হতাশা।
কলঅবাড়ি ইউনিয়নের হিজলবাড়ী গ্রামের কিষানী ফুলমালা বিশ্বাস বলেন, চাষ শুরু থেকে প্রচুর খরা দেখঅ দেয়। সেই সাথে যোগ হয় বৃষ্টি না হওয়া। একারনে গত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন কম হয়েছে। তারপর আবার দাম কম। এক একটি বাঙ্গি ১৫/২০ টাকা করে বিক্রি করছি। এই দামে বিক্রি করলে আমাদের খরচ উঠবে না। লোকসানে পড়তে হবে।
কম ফলন ও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার কারনে লোকসানের মুখে পরেছে গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া উপজেলার বাঙ্গি চাষিরা।
কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর উপজেলায় ৪৩৪ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির চাষাবাদ হয়েছে। সার,বীজ ও কিটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর বাঙ্গি চাষে খরচ বেশী হয়েছে।
নলুয়া গ্রামের বাঙ্গিচাষী জয়দেব বিশ্বাস বলেন, দুই বিঘা জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছি। যে দামে বিক্রি করছি তাতে লাভ তো দুরের কথা চালান ঘরে নেওয়াই কষ্ট।উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া,মাছপাড়া,নলুয়া,তেতুলবাড়ি,হিজলবাড়ী গ্রামে বেশি বাঙ্গির চাষ হয়েছে।
আর এই বাঙ্গি বিক্রির জন্য স্থানীয় কালীগঞ্জ বাজারে গড়ে উঠেছে অর্ধশত আড়ৎ। এই আড়ৎ থেকে ঢাকা,নারায়ণ গঞ্জ,গাজীপুর,মানিকগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঙ্গি যায় বলে আড়ৎদারগণ জানিয়েছেন। তবে এবছর এ সকল এলাকা থেকে বেপারীরা না আসার কারনে আড়ৎদারগণ অলস সময় কাটাচ্ছেন।
আড়ৎদার বিভাষ বাড়ৈ বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ,মানিকগঞ্জ,গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের এখানে বেপারীরা বাঙ্গি কিনতে আসতো। কিন্তু এবছর বেপারীরা আসছে না।তাই আমাদের আড়ৎদারদের অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার দেবাশীষ দাস বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলায় এবছর ৪৩৪ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির চাষ হয়েছে।আমরা উপজেলা কৃষি অফিস সার,বীজ ও পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করেছি।ফলন একটু দেরীতে আসায় কৃ্ষকগণ তাদের কাঙ্খিত দাম পাচ্ছে না। আশা করছি পরবর্তী বছরগুলোতে আগাম চাষাবাদ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সার,বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply