গোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বর্হিতভাবে নিয়োগ দেয়ায় সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন সহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক (মামলা নং-৮, তাং-২.০৩.২০২৫)।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-প্রফেসর ড. মোশার্ফ আলী, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান এবং সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী।
দুদুক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের দায়েরকৃত মামলার বিবরনে জান গেছে, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের ২০.০৯.২০১৮ তারিখের স্মারক নং-৭৬৩-তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ সেকশন অফিসারের ১৬টি পদ সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে শারমিন চৌধুরী সহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
উক্ত পদে ৮৭০ জন আবেদকারীর ডাটা শীটে তৎকালীন উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে।উক্ত তালিকায় আসামী শারমিন চৌধুরী’র নাম নাই।তা’ছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকে শারমিন চৌধুরী-কে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকের ডাটা শীটে শারমিনের নাম নাই।
অর্থাৎ আবেদন তালিকায় নাম না থাকার পরও জাল-জালিয়াতি করে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত ছিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের বেশি ছিল।নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের স্থলে ৩৩ বছর ৩ মাস থাকার পরও বে-আইনিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ ও ডাটা শীটে নাম না থাকার পরও নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply