
টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
চলতি রমজানে গ্রামবাসিকে পানির অসুবিধা থেকে মুক্তি দিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া – গিমাডাঙ্গা খাল পরিস্কার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন খালটিতে কচুরিপানা ও আবর্জনায ভরপুর থাকায় খালের পানি ব্যবহারে অসুবিধা হচ্ছিল হাজারও গ্রামবাসীর।
দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার করায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি। দুইদিন ধরে খাল পরিস্কারের পর শুরু হয়েছে খালে স্বচ্ছ পানি প্রবাহ।
গত শনিবার থেকে আজ রবিবার (২ মার্চ) পর্যন্ত দুই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার কর্মসূচী হাতে নেয় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সাথে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধে ছিলো দীর্ঘদিন। তাই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরে খালটি। খালে জন্মনেয়া কচুরিপানা পচে পানি কালো হওয়ায় গোসল করা দূরের কথা খাল নির্ভর অন্তত ১০টি মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা খালের পানি দিয়ে অজু করতে পারতো না। এছাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মানুষ গৃহস্থলী কাজ করতে পারতো না। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মোঃ মঈনুল হক মুসল্লিদের দূর্ভোগের কথা জানতে পেরে খাল পরিস্কারের উদ্যোগ গ্রজণ করেন।
গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী সাংবাদিকদের বলেন, খালের পাশ দিয়ে প্রায় দশটি টি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু খালের পানি পচে ব্যবহারের অনুপোযোগী থাকায় গ্রামবাসিকে ওজু ও নামাজ পড়তে কষ্ট হয়েছে। বিষয়টি পৌর প্রশাসকের কাছে জানালে তিনি রমজানের প্রথম দিন খাল পরিস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাল পরিস্কার করে এখন পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারতো না। কারন কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির পানি নষ্ট করে দিয়েছিলো। এখন পরিস্কার হওয়ার খালটি যেন প্রান ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা গৃহস্থলী কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারছে।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মোঃ মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিলো। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দূর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পেরে দুইদিনব্যাপী পরিস্কার অভিযান শুরু হয়। এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কারের মাধ্যমে খালটির পানি জনগন নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছে। জনসেবায় উপজেলা প্রশাসনের এমন কাজ অব্যাহত থাকবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION