কালের খবরঃ
জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ থাকার দায়ে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার এসএম বদরুল আলম ও তার স্ত্রী মাসুমা আলমের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।আজ বুধবার ( ১২ ফেব্রুয়ারী)দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা দুর্ণীতি দমন অফিসের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে এস এম বদরুল আলম ও তার স্ত্রী মাসুমা আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০৪।
মামলার বিবরনে জানাগেছে, আসামি মাসুমা আলম দুদকে তার সম্পদের বিবরনী দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ৮২লক্ষ ৭৯হাজার ৬৬৯টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের নথিপত্র জমাদেন। দাখিলকৃত সম্পদের বিপরীতে তদন্ত করে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮৮হাজার ৪৯৯টাকা। সেখান থেকে পারিবারিক ব্যয় করা হয়েছে ৬৯লক্ষ ৪৩হাজার ৪৫১টাকা। আসামি মাসুমা আলম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬০লক্ষ ৩৮হাজার ৮৩২টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখল করছেন। এখানে এস, এম, বদরুল আলমের স্ত্রী মাসুমা আলম অবৈধ আয় ৬০ লক্ষ ৩৮হাজার৮৩২। যা ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধে এসএম বদরুল আলম ও তার স্ত্রী মাসুমা আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আরো বলা হয়েছে,মাসুমা আলমের বৈধ আয়ের কোন উৎস্য না খাকা সত্তে ও স্বামী পুলিশ অফিসার হিসেবে অর্জিত আয়কে বৈধ করার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজসে আয়কর নথিতে ভূয়া ব্যবসা দেখিয়ে স্বামীর অবৈধ আয় বৈধ করার জন্য ব্যবসার নামে বৈধ করার চেষ্টা চালায়। যা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অঙ্গতিপূর্ণ।
অভিযুক্তরা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ধানকোড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ২নম্বর রোডের ৩৬৮ নম্বর বাসায় বসবাস করছেন।
তবে এই বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়ার জন্য মুঠোফোনে( ০১৭১১২৮০২৫৭) বারবার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকার সংকেত পাওয়া যায়।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply