কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে মাদক ব্যবসা করতে রাজি না হওয়ায় এক যুবককে ধরে নিয়ে সারারাত পানিতে চুবিয়ে ও মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।এমনকি তার গোনাঙ্গে সিগারেটের আগুন দিয়ে ঝলসে দেয়ার প্রমান সহ যুবকের সারা শরীরে আঘাতের চিহৃ এর প্রমান পেয়েছে চিকিৎসক। মারপিটের শিকার হোটেল ব্যবসায়ী নাহিদ মিনা(২২)। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকের ডাঙ্গা গ্রামের চান মিয়া মিনার ছেলে।যুবকটি চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকায় হোটেল ব্যবসা করেন।
মারপিটের পর আহত যুবককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর উপজেলার গোপিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে পরিবার সূত্রে দাবী করেছে।
আহত যুবক নাহিদ মিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, গোপিনাথপুরের আমানত খান এবং তার সঙ্গি ফুকরা গ্রামের আদম ও বাদশা আমাকে তাদের সাথে মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। এই কাজে আমি রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আমাকে চন্দ্রিদিঘলিয়া বাজার থেকে পাশের গ্রাম ফুকরাতে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ফাঁকা জায়গায় রাত ৮ টা থেকে ফজরের আযান পর্যন্ত বার বার পানিতে চুবায় ও মারপিট করে মাদক ব্যবসায় রাজী করাতে চায়। আমি রাজি না হওয়ায় এ পর্যায়ে আমার গোপনাঙ্গে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেয়।রাতভর তিন চারজন বেদম মারপিট করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা সকাল ১০টার দিকে আমাকে উদ্ধার করে।
মারপিটের শিকার নাহিদের পিতা চান মিয়া মিনা বলেন,আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় ফুকরা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে কোথাও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলামনা।ফোন ও বন্ধ পাচ্ছিলাম ।গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে খবর পাই নাহিদ হাসপাতালে আছে। এসে দেখি আমার ছেলের সারা শরীরে ব্যাপক মারপিটের আঘাত করেছে। ওর গোনাঙ্গেও আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে।নাহিদের সারা শরীর ফুলে গেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীর পিতা জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবতাব জিলানী বলেন, যুবকটিকে সমস্ত শরীরে গুরুতর আঘাত পেয়েছি। তার হাতে, পায়ে, কোমরে, পিঠেসহ সমস্ত জায়গায় রক্তাক্ত আহত হয়েছে। আর সবচেয়ে খারাপ যেটা সেটা হলেঅ তার গোপনাঙ্গে ড্রাই বার্ণ ছিল। রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যপারে গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আহমেদ আলী বিশ্বাস বলেন, এটা একটি মারামারির ঘটনা জানতে পরেছি। আহত নাহিদ মিনার বাবা চান মিয়া মিনাসহ বেশ কয়েকজন ওকে নিয়ে ফাড়িতে এসেছিল। আমরা মামলা দিতে বলায় তিনি বলেন আগে চিকিৎসা দিব পরে মামলা করবো। এর পর আর তারা আসেনি।মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তকে ভুক্তোভোরা মাদক ব্যবসার যে অভিযোগ বলছেন সেটা তদন্ত করে দেয়া হচ্ছে। এরকম কিছু পাওয়া গেছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply