
কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির আরো একটি কায্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা শহরে মাত্র ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তিনটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আত্মপ্রকাশ হলো।
তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) উদ্বোধন করা এ অফিসটিই হলো জেলা বিএনপির আসল কায্যালয়।জেলার সকল নেতাকর্মীকে এ কায্যালয়ে এসে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য আহবান জানানো হয়।
আজ রবিবার সন্ধ্যা জেলা শহরের বড়বাজার নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় জেলা বিএনপির নতুন এ কায্যালয় উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ রফিকুজ্জামান।

এ অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা,কেএম বাবর, অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের,তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক,জিয়াউল কবির বিপ্লব, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহীদুল ইসলাম লেলিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ হাসিবুর রহমান হাসিব, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরাসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা বলেন, যারা অফিস খুলে বসেছেন এগুলো তাদের ব্যক্তিগত অফিস যা কোন ভাবেই বিএনপি দলীয় কায্যালয় নয়। তারা বিএনপিতে জায়গা নিতে অফিসের নামে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আজ যে অফিসের উদ্বোধন হলো এটাই বিএনপির মূল কায্যালয়।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, কোন অফিস করতে হলে দলের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনুমতি বা সমর্থন থাকতে হয়। কিন্তু ওই দুটি অফিসে কোন নেতাকর্মী যায় না। আজ জেলা বিএনপির আহবায়ক যে অফিসটির উদ্বোধন করলেন এটাই বিএনপির মূল কায্যালয়। কেউ ব্যক্তিগত অফিস খুলে বসলে সেটা বিএনপির কায্যালয় হবার কোন সুযোগ নেই। তাই নেতাকর্মীদের দ্বিধায় না পড়ে মুল অফিসে আসার আহবান জানাই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, জেলঅ শহরে আরো দুইটি অফিস খোলঅ হয়েছে।তারা দলের সুবিধা নিতে ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসিত করতে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অফিস খুলে জেলা কার্যালয় দাবি করছে। এটা ঠিক নয়। আজ আমরা যে অফিস উদ্বোধন করলঅম এটাই জেলঅ বিএনপির কার্যালয়। এখন থেকে এটাই হবে বিএনপির মুল অফিস। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড এখান থেকেই পরিচালিত হবে।
এর আগে জেলা বিএনপির সাবেক সাভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু তার বাস ভবনে ও অপর সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ শহরের গেটপাড়ায় অফিস খুলে জেলা বিএনপির কায্যালয় দাবি করে সাইনবোর্ড টাংগীয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION