মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে মারধর-নিয্যাতন, হামলা-ভাংচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। উপজেলার লোহাইড় গ্রামবাসীর ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী এবাদত মোল্যা ও মোহাম্মদ মোস্তাক জামাল। এসময় লোহাইড় গ্রামের মুরব্বি করিম খাঁন, ছিদ্দিক খন্দকার, রবিউল খাঁনসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে তারা সালাউদ্দিন মিয়ার প্রতিপক্ষের পক্ষে কাজ কারেন।এরপর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতাবলে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে তাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন এবং বিভিন্ন লোকের জমিজমা দখল করেছেন।আর এসব কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে ফরিদপুরের হায়দার খাঁন ও লোহাইড় গ্রামের মিলন খন্দকার। মিলন খন্দকারের বাবা মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি। তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নেতাদের ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরী নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। আর হায়দার খাঁন ওই গ্রামের জামাতা ও মজিবর খন্দকারের আত্মীয় ।
এছাড়া কিশোর গ্যাং দিয়ে এলাকায় লুটপাট ও চাঁদাবাজী করানো হয় উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়ছে,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর খন্দকার ও তার ছেলে মিলন খন্দকার দলের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন সময় কিশোর গ্যাং দিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে লুটপাট চালিয়েছেন।এতে ভুক্তভোগীসহ অনেক গ্রামবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অনেকেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত রয়েছেন।তাই এসব নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন তারা।বর্তমানে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মিয়া যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply