কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম সাভান পার্ক পরিদর্শ করে বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়েরকৃত মামলার স্পেশাল জজের রায়ের প্রেক্ষিতে সাভানা ইকো রিসোর্টের যাবতীয় কৃষিজমি, পুকুর জলাশয়সহ যা আছে তার সব ক্রোক করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমির) সহযোগীতায় আমরা এই ক্রোক আদেশটি জারি করেছি।জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি আজ দেখতে এসেছি। যে জায়গাটায় আমি সহযোগীতা দিব সেই জায়গাটি ঘুরে দেখলাম।কি কি সুযোগ সুবিধা আছে তার ধারনা অর্জণ করলাম।এটা শুধু ক্রোক নয় এটা রক্ষণা বেক্ষণের মাধ্যমে এই রিসোর্টকে পুনরায় সচল করবো। এখানে ফলগাছ, পুকুর , কটেজ ও বিভিন্ন রাইড রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কিভাবে এইসব ব্যবহার উপযোগী করা যায় এবং মানুষ এসে এখানে চিত্তবিনোদন করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে অচিরেই
এই পার্কটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
আদালতের নির্দেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে রিসিভার নিয়োগ প্রাপ্তির পরে পার্ক পরিদর্শন করেন গোপালগেঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম-এর নেতৃত্বে দুদক এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে এই প্রতিনিধি দলটি পার্কটির ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারহানা জাহান উপমা,দুদক গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মোঃ মশিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দীন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন নন্দী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক ( শস্য) সনজয় কুমার কুন্ডু,সহকারী কমিশনার মোঃ সেবগাতুল্যাহ, রোন্টি পোদ্দার, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগানসহ সরকারী অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মোঃ মশিউর রহমান পার্কের ফটকের সামনে একটি ক্রোক বিজ্ঞপ্তি টাংগীয়ে দেন। এই বিজ্ঞপ্তীতে সাভানা পার্কের কি কি মালামাল ক্রোক করা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৭জুন)সন্ধায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)দুটি দল পার্কে অবস্থান নেয়। পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রন নেয়ার ঘোষণা দেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার ( ভূমি) মিজ বাবলী শবনম। এর ফলে পরের দিন শনিবার ( ৮জুন) থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর এই দুই জেলার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলে আসছে।
উল্লেখ্য ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে প্রায় ৬২১ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply