কালের খবরঃ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গোপালগঞ্জে সর্বত্র বইছে আনন্দের বন্যা। একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এছাড়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষ পদ্মার সেতুর গুরুত্ব ও উপকারিতা নিয়ে এখনও গল্পে মশগুল। অনেকে পদ্মা সেতু দেখার জন্য দল বেধে যাওয়ার প্রোগ্রাম করছে।কেউ মটরসাইকেলে করে কেউ আবার প্রাইভেটকার ভাড়া করে সেতু দেখতে যাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আমারা খুশি। পদ্মা সেতুর কারনে আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে। ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগের ভোগান্তি কমেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরী বা লঞ্চ ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছেনা। সহসায়ই আরাম দায়ক ভ্রমণ করা যাচ্ছে। সেই সাথে ব্যবসা বাণিজ্য সহজতর হবে। হবে উচ্চ শিক্ষায় গ্রহনের সুযোগ।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড় গ্রামের বাসিন্দা অটোরিক্সা চালক বিজন মৈত্র বলেন, আগে আমাদের ঢাকা যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে মাওয়া ঘাট পার হতে হয়েছে। লোকজনের ব্যবহার ছিল খুবই খারাপ। তারা নিজেদের সার্থের জন্য খারাপ আচরন করতো। এখন পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। পথে আরকোনভোগান্তী থাকলো না। গোপালগঞ্জ থেকে বাসে উঠবো আর ঢাকা যেয়ে নামবো। তাতে মালামাল নিতে ও বহন করতে সুবিধা হবে।
গোপালগঞ্জ শহরের নতুন বাজার রোডের ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার সাহা বলেন,ব্যবসা বণিজ্যের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে এমন আনন্দে আমি এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মিষ্টিমুখ করিয়েছি । তিনি বলেন, আমরা যারা ব্যবসা করি তাদের জন্য সবচেয়ে বেশী সুবিধা হলো। এখন সকালে গিয়ে বিকালের মধ্যে মোকাম করে বাড়ি ফিরতে পারবো। মাওয়া ঘাটে আর ভোগান্তী পোহাতে হবে না।
রঘুনাথপুর গ্রামের সবজি চাষী হরষিত বালা বলেন, বছরের ১২ মাস আমরা ঘেরপাড়ে ও জমিতে সবজি ফলাই। এসব সবজি এতোদিন স্থানীয় বাজারে ও পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছি। এখন পদ্মা সেতু চালু হয়েছে ইচ্ছা আছে ঢাকার বাজার ধরার। তাহলে লাভটা একটু বেশী পাবো।
কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা গ্রামের মৎস্যচাষী স্বপন বিশ্বাস বলেন, আমার দুইটা ঘের। সেখানে কার্প জাতীয় সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছ চাষ করে থাকি। এসব মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতাম। এখন ঢাকা বা চট্রগ্রামে পাঠানোর চিন্তা ভাবনা করছি।
গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিনের অবহেলিত এই দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প বিপ্লবের উন্নয়ন হবে।ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে জমি কেনা শুরু হয়েছে। জমির দামও বেড়ে গেছে।পদ্মা সেতুর কারনে ঢাকার সাথে মংলা ও পায়রা বন্দরের দুরত্ব কমে আসবে।ফলে শিল্পের বিকাশ ঘটবে।এতে গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃস্টি হবে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply