কালের খবর, স্বাস্থ্য ডেক্সঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা সহজীকরন করতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রোগীরা নির্দিষ্ট কক্ষে প্রবেশ করলেই সেখান থেকে পাচ্ছেন চিকিৎসার সকল সুযোগ সুবিধা। সেবা প্রত্যাশিরা একই স্থান থেকে স্বল্পসময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা,ডাক্তার দেখানো ও ওষুধ পেয়ে খুশী হয়ে বাড়ি ফিরছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের এভাবে সেবা দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে হাসপাতালটি ৫০শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নিতকরণ ও নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয় চলতি বছরের ৭ জানুয়ারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি তাঁর নির্বাচনী আসনের পঞ্চমতলা বিশিষ্ট এই হাসপাতল ভবনের উদ্বোধন করেন। পরবর্তিতে (২২ মে ২০২৩)চালু করা হয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডি) কর্ণার কার্যক্রম। এই এনসিডি কর্ণারের মাধ্যমে রোগীদের উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১হাজার ৮৯১জন রোগীর রেজিস্ট্রশন করা হয়েছে। তারা এখান থেকে বিনামূল্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ডাক্তার দেখানোসহ ওষুধ সুবিধা পেয়ে আসছেন। রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী রোগীরা মাসের নির্ধারিত তারিখে পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ডাক্তার ফলোআপের মাধ্যমে পরবর্তি মাসের ওষুধ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে রোগীরা জরুরী বিভাগ থেকে ১০টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। পরবর্তিতে নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ২১০নম্বর (এনসিডি) রুমটিতে প্রবেশ করলেই অপেক্ষামান নার্সরা অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে রক্তচাপ নির্ণয় ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন।এতে উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগ সনাক্ত হলে অনলাইনের মাধ্যমে রোগীর রেজিস্ট্রেশন করে দেন। রেজিস্ট্রেশন শেষে এনসিডির নির্ধারিত একটি বইতে রোগীর ঠিকানাসহ জীবন বিত্তান্ত লিপিবদ্ধ করা হয়। পরে পাশের টেবিলে বসে থাকা ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। রোগীর সমস্যার কথা শুনে ঔষুধ লিখে দেন চিকিৎসক। এবং ওই রুমের মধ্যেই একজন ফার্মাসিস্ট থাকেন। তিনি ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ করে থাকেন। প্রত্যেক রোগী একসঙ্গে ৩০ দিনের ওষুধ পেয়ে থাকেন।
সরেজমিনঃ
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) হাসপাতালের এই রুমটিতে কথা হয় কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি গ্রামের শেখ মাহাবুবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিকিৎসা নিতে আসেন এই হাসপাতালে। এনসিডি রুমে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তার উচ্চরক্তচাপ ধরা পরে। চিকিৎসক তাকে এনসিডি কর্মসূচীর মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দেন। সেই ওষুধ খেয়ে উপকার হয়েছে। প্রতিমাসে তিনি একবার এসে চেকআপ করান এবং ওষুধ নেন। এর জন্য তাকে কোন ফি দিতে হয়না।
তিনি আরো বলেন, এখানে যতবার এসেছি ততবার সহানুভুতিশীল আচরন পেয়েছি। এখানের দায়িত্বরত কোন স্টাফ বিরক্ত হননা। আগে এই হাসপাতালে এত সুন্দর ব্যবস্থা ছিলনা। গত এক বছর হলো হাসপাতালে পরিবেশটা খুবই সুন্দর দেখছি। এতে আমি সন্তুষ্ট। এই হাসপাতালের মত দেশের অন্যসব হাসপাতালের পরিবেশ হলে রোগীরা কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই চিকিৎসা সেবা নিতে পারতো।
একই উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের টুপুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নারী মুক্তিযোদ্ধা মোমেলা খাতুন বলেন,গতমাসে এসে ডাক্তার দেখাই। মাস শেষ হয়েছে আবারও এসেছি ডাক্তার দেখাতে ও ওষুধ নিতে। এখানে এসে মনে হয়েছে ধনী গরীব সবাই সমান ভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। নার্স ও ডাক্তাররা বেশ আন্তরিক। কোন প্রকার ভোগান্তী ছাড়াই আমি চিকিৎসা সেবা পেয়েছি। এজন্য কোটালীপাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
মান্দ্রা গ্রামের গৃহবধু সুখী খানম। তিনি বলেন, আজই প্রথম এসেছি হাসপাতালে। জরুরী বিভাগ থেকে ১০টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ডাক্তারের কাছে আসি। ডাক্তার আমার সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনে ওষুধ লিখে দিয়েছেন। মাত্র আধাঘন্টার মধ্যে আমি ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হচ্ছি। এতে আমি খুব খুশী।
নার্সদের কথাঃ
এনসিডি কর্ণানের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মমতাময়ী বিশ্বাস বলেন,এখানে রোগী আসার পর আমরা প্রেসার ও ডায়বেটিস পরীক্ষা করি। পরীক্ষার ফলাফল অসাভাবিক হলে কনফার্ম হওয়ার জন্য পুনরায় আবার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন ৩০/৪০জন নতুন রোগী আসে। আবার পুরাতন রোগীর নির্ধারিত তারিখ থাকে। সব মিলে এনসিডি কর্ণারে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮০/৯০জন রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। এই রুমে দুইজন নার্স, একজন ডাক্তার ও একজন ফার্মাসিস্ট দায়িত্ব পালন করে থাকেন। রোগী সামলাতে মাঝে মধ্যে আমাদের একটু কষ্ট হয়। তারপরও রোগীদের আমরা দায়িত্বসহকারে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে স্টাফ বাড়ালে সেবা দিতে আরো সুবিধা হত।
পর্যবেক্ষকের কথাঃ
প্রকল্পের মণিটরিং সহকারী অফিসার শরীফুল ইসলাম শামীম বলেন, এনসিডি কর্মসূচীর মাধ্যমে কোটালীপাড়া হাসপাতালে ইতোমধ্যে ১হাজার ৮৯১জন নারী ও পুরুষ রোগীকে রেজিস্ট্রেশন করে বই দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চরক্তাচপ রোগী ১হাজার ২৩০জন ও ডায়াবেটিস রোগী ৬৬১জন। এতে রোগীর ওষুধসহ সবকিছু লিপিবদ্ধ থাকে। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মাসিক ওষুধ সুবিধা দিয়ে থাকি। পরবর্তি মাসে কত তারিখে আসবেন সেটাও লিখে দেয়া থাকে। ফলোআপের মাধ্যমে পুনরায় একমাসের ওষুধ নিতে পারেন। এই প্রকল্পটি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অর্ন্তভূক্ত।
হাসপাতালটি এখন রোগী বান্ধব প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে,
হাসপাতালের অবস্থাঃ
এছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ১০০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা কমপ্লেক্সের চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিগত একবছর আগের থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি রোগী বান্ধব প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। রোগীদের প্রত্যাশা পূরণে শতভাগ সচেষ্ট হয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক-নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে থাকেন। চিকিৎসা সেবায় নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ইতোমধ্যে কোচালীপাড়ার মানুষের কাছে আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছে এই হাসপাতালটি।রোগী বান্ধব হওয়ায় হাসপাতালটিতে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০ শয্যার লোকবল দিয়ে চালানো হচ্ছে ১০০ শয্যার কার্যক্রম। প্রতিদিন ৮০/৯০জন রোগী ভর্তি হয়ে (ইনডোর) ও ৬/৭শ রোগী বর্হির বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এই স্বল্পসংক্ষক চিকিৎসক ও লোকবল দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
সেবা প্রত্যাশীদের কথাঃ
হাসপাতালে পক্ষাঘাত রোগ নিয়ে ভর্তি রোগীর স্বজন ও ডহরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাসি বল্লভ বলেন, এখানের সবাই ভালো আচরণ করছেন। আমাদের অনেক খেয়াল রাখছেন। যখন ডাকি তখই এসে রোগী দেখেন। সময়মত খাবার দিচ্ছে। খাবারের মান ও পরিবেশটা আগের থেকে অনেক ভালো। মনে হয় প্রাইভেট ক্লিনিক। এই জন্য সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
ডেঙ্গু রোগ নিয়ে ভর্তি উত্তম মন্ডল বলেন, ডাক্তার নার্স ও স্টাফদের আচরণ ভালো। সবাইকে ভালো ভাবে দেখেন।আমরা ভালো চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছি। হাসপাতলটা আগে যে অবস্থায় ছিল এখন অনেকটা উন্নত হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা হাসপাতালেই করতে পারছি। ভালোই হচ্ছে খারাপ নাই।
অপর ডেঙ্গু রোগীর স্বজন ও কোটালীপাড়া উপজেলার তরুর বাজার গ্রামের বাসিন্দা দিনেশ মন্ডল বলেন,আমার জামাই অসুস্থ। ১১দিন ভর্তি। ডাক্তার ভালো চিকিৎসা দিচ্ছে। খাবার ভালো দিচ্ছে। কোন সমস্যা নাই। ভালোই চলছে। পরিবেশটাও অনেক ভালো। দুই বছর আগে হাসপাতালে ডুকলে নাকে কাপড় দিতে হত। এখন বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেখছি। আশাকরি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যঃ
হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে,কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য যে লোকবল প্রয়োজন তার অর্ধেক রয়েছে। এখানে জুনিয়র কনসালটেন্ট ১১জনের স্থলে ৬জন,মেডিকেল অফিসার ২৭ জনের স্থলে ১২জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স ৪৭জনের বিপরীতে ৩১জন রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী কম থাকায় দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হয়। বিশেষ করে দুইটি ভবন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বেশী সমস্যা হচ্ছে। দুইটি ভবনের জন্য মাত্র ৪জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন অন্তত ২৪জন। ৫০ শয্যা হাসপাতালে লোকবল যা থাকার কথা তার অর্ধেক লোকবল এই হাসপাতালে। ইতোমধ্যে হাসপাতালটি প্রায় ১বছর আগে ১০০ শয্যার উন্নিত হয়েছে। কিন্তু ৫০ শয্যার সেই লোকবল দিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এরপরও হাসপাতালের পরিবেশ ও চিকিৎসা সেবা মানসম্মত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানের ডাক্তার ও নার্সরা খুবই আন্তরিক হওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কথাঃ
এব্যাপারে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নন্দা সেন গুপ্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এই উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী। তখন হাসপাতালটি পুরাতন ভবনে ছিল। পরবর্তিতে ২২ নভেম্বর নতুন ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। ৭ জানুয়ারী ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যার নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন হাসপাতালের আলট্রসনোগ্রাম মেশিন পুরাতন ছিল, এক্সরে মেশিন বন্ধ ছিল, ভায়া সেন্টার ছিল কিন্তু কার্যকরি ছিলনা। সেল কাউন্টার মেশিন ছিল না, সিজারিয়ান অপারেশন হতো না। পরবর্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে অত্যাধুনিক মেশিন ও যন্ত্রপাতি দিয়ে অপারেশন সার্ভিস চালু করা হয়। এখন প্রতিদিন রোগীরা এসব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
এছাড়া হাসপাতালে শিশু কর্ণার, গর্ভবতী মা ও প্রসব পরবর্তী মায়েদের সেবা দেয়া, মাতৃদুগ্ধ পানের জন্য আলাদা সেন্টার করা হয়েছে। যাতে মায়েরা কোন প্রকার হেজিটেশন ছাড়া স্বাচ্ছন্দে শিশুদের যত্ম নিতে পারেন।এছাড়া কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভিশন সেন্টার,যক্ষারোগ নির্ণয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীরা কম খরচে সরকার নির্ধারিত মূল্যে রোগ নির্ণয় করাতে পারছেন। এতে রোগীদের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে আর সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। এক বছরে শুধুমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম বাবদ ১১লক্ষাধিক টাকা সরকারের কোষাগারে রাজস্ব দেয়া হয়েছে। আর পরিবেশ ঠিক রাখতে কমপ্লেক্স পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন,সর্তকতামূলক লিফলেটও ফুল বাগান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০২২ সালের মার্চ মাসে স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষিত মূল্যায়নে দেশের ৪৯৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালের অবস্থান ছিল ৪৩০তম। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ঘোষিত মূল্যায়নে সেটি এসে দাড়িয়েছে ৭৭নম্বরে। প্রয়োজনীয় লোকবল পেলে কোটালীপাড়া হাসপাতালকে দেশের সর্বচ্চ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply