কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে আনন্দ উৎসাহ,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীয্য ও উৎসব মূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা। তবে এবছর নজর কেড়েছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী উত্তরপাড়া গ্রামের ৪৮ ফুট উচ্চতার কালিমূর্তি পূজাটি। এটি দেশের সর্ব বৃহদাকৃতির মূর্তি বলে দাবী আয়োজকদের। ৩২ হাত বা ৪৮ ফুট উচ্চতার বিশালাকৃতির শ্যামা দেবীর প্রতিমা দেখতে পেরে খুমী দর্শনার্থী ও ভক্তরা।। পূজা শুরুর আগেই সন্ধ্যা থেকে দূরদূরান্ত থেকে মন্ডপ প্রাঙ্গণে ভীড় করেন দর্শনার্থীরা। এ উপলক্ষে সড়কে ও মন্ডপের আশপাশ এলাকায় করা হয় আলোকসজ্জা।
আয়োজকদের সূত্রে জানাগেছে, সনাতন পঞ্জিকা মতে কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় শ্রী শ্রী কালি পূজা। ভক্তরা পূর্ণ লাভের আশায় বাড়ি,মহল্লা ও মন্দির মাটির তৈরী মূর্তি তৈরী করে এ পূজা করে থাকেন।
জেলার হাজার হাজার মন্ডপে কালিপূজা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর নজর কেড়েছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী উত্তরপাড়া গ্রামবাসীর আয়োজিত ৩২ হাত (৪৮ফুট) উচ্চতার বিশালাকৃতির শ্যামা দেবীর প্রতিমা। রবিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূল পূজা অনুষ্ঠিত হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ উলুধ্বনি আর ঢাকের বাজনায় মুখোরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রঙ্গণ। মিষ্টি ও বিভিন্ন ফল দিয়ে দেবীর কাছে অর্পণ করা হয় নৈবেদ্য। ভক্তরা ও দর্শনার্থীরা মায়ের কাছে প্রণাম জানিয়ে আশির্বাদ কামনা করেন। বেদীর পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে দেয়া হয় অঞ্জলী।
প্রতিমা দেখতে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, মাদারীপুর, বরিশাল, সাতক্ষীরা, খুলনা ও নড়াইলসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ভীড করেন দর্শনার্থীরা। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ উপভোগ করছে শিশুরা।আয়োজক কমিটির মভাপতি তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন,১৪ জন প্রতিমা শিল্পী ১৮দিন পরিশ্রম করে এ প্রতিমা তৈরী করেছেন। পূজাটি জাঁকজমকভাবে করতে প্যান্ডেল, লাইটিংসহ বর্ণিল রূপে সাজানো হয়ে। সড়কগুলোতে করা হয় আলোকসজ্জ্বা। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয় সিসি ক্যামেরা।
পূজা রবিবার মধ্যরাতে শেষ হলেও দর্শনার্থীদের জন্য এ প্রতিমা থাকবে (২১ অক্টোবর) পযর্ন্ত। পূজা উপলক্ষে পূজা মন্ডপের পাশে আয়োজন করা হয়েছে ১০ দিনব্যাপী গ্রাম্যমেলার। বিশালাকৃতির এ প্রতিমাসহ পূজায় খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
দর্শনার্থী প্রজ্ঞা রানী ভক্ত বলেন, এত বড় প্রতিমা দিয়ে শ্যামা পূজা হচ্ছে শুনে মায়ের সাথে দেখতে এসেছি। অনেক ভাল লাগছে।
দর্শনার্থী প্রত্যাশা মন্ডল বলেন , বড় প্রতিমায় কালি পূজা এই আমার প্রথম দেখা। মা, বা, ভাইকে সাথে নিয়ে পূজা দেখতে এসছি। মায়ের কাছে প্রণাম করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেছি।ভাইকে নিয়ে মেলায় ঘুরেছি। খুব ভালো লেগেছে।
মন্ডপ প্রাঙ্গণে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত গোপালগঞ্জ সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ হোসাইন খান বলেন, এত বড় প্রতিমা দিয়ে আগে কখনো গোপালগঞ্জে পূজা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবারই প্রথম হচ্ছে। যে কারনে এখানে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভীড় হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্দিরসহ পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply