কালের খবরঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মধন্য স্থান টুঙ্গিপাড়া। এই মাটিতে জন্মে ছিলেন তিনি। আবার এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন । বাবা ও মায়ের কবরের পাশে জাতির পিতার কবর। এই তিনটি কবরকে ঘিরে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স। এই সমাধিকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের মুজিবভক্ত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষকরা আসেন এখানে। প্রতিদিন মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাধি সৌধ এলাকাসহ টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন স্থান। সমাধি সৌধকে ঘিরে টুঙ্গিপাড়ায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকাটি পর্যটন এলাকায় রুপ দিতে পারলে কর্মসংস্থানের অপার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবস্থানঃ
টুঙ্গিপাড়া গ্রামটি বাইগার নদীর পাড়ে। এই নদীর পাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। এই বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স। আর এই কমপ্লেক্সটি পাল্টে দিয়েছে টুঙ্গিপাড়ার দৃশ্যপট। প্রতিদিন দেশ-বিদেশী হাজার হাজার মানুষ ও মুজিব প্রেমীরা আসেন টুঙ্গিপাড়ায় প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৌশরের স্মৃতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারেন।বঙ্গবন্ধুর কবরের সামনে বেদির পাশে দাঁড়িয়ে মুজিব আদর্শের সৈনিকরা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর কবরকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। তখনকার (সাবেক) রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯৯ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩৮.৩০ একর জমির ওপর ১৭ কোটি ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সহযোগিতায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ সমাধিসৌধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।
স্থাপত্তশৈলীঃ
লাল সিরামিক ইট আর সাদা-কালো টাইলস দিয়ে গ্রিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে নির্মিত এই কমপ্লেক্স। সৌধের কারুকার্যে ফুটয়ে তোলা হয়েছে বেদনা বা শোকের চিত্র। কমপ্লেক্সের সামনের, দু’পাশের খোলা স্থান (উদ্যান ) পেরোনোর পরই বঙ্গবন্ধুর কবর। পাশেই তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়েরা খাতুনের কবর। এই তিন কবরকে ঘিরেই নির্মাণ করা হয়েছে মূল টম্ব। সাদা পাথরে নির্মিত গোলাকার এক গম্বুজ বিশিষ্ট সমাধি সৌধের ওপর দেয়ালে জাফরি কাটা। এই জাফরি কাটা দিয়েই সূর্যের আলো প্রবেশ করে। উপরে কাচের কারুকাজ দিয়েও বিভিন্ন আঙ্গীকে বাইরের আলো ছড়িয়ে পড়ে কবরের বিভিন্ন স্থানে।চারদিকে কালো টাইলস ও মাঝখানে শ্বেতশুভ্র টাইলসে বঙ্গবন্ধুর কবরটি বাঁধানো। উপরের অংশ ফাঁকা। কবর তিনটি ঘিরে রাখা হয়েছে রেলিং দিয়ে।
এই কমপ্লেক্সের দক্ষিণ দিকে মূল ফটকের ( ১নং গেট) কাছে রয়েছে একটি পাঠাগার ও জাদুঘর। পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইসহ প্রায় আট হাজার বই রয়েছে। রয়েছে গবেষণাকেন্দ্র, প্রদর্শনী কেন্দ্র, উন্মুক্ত মঞ্চ, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ, বকুলতলা চত্বর ও স্যুভেনির কর্নার। এছাড়া সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স থেকে তিনশ মিটার দুরে সাবেক খাদ্য গুদামের পাশে বাইগার নদীর ও দুই কিলোমিটার দুরে পাটগাতী বাজার সংলগ্ন মধুমতি নদীর তীরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন দুইটি লঞ্চ ঘাট। সমাধি সৌধের প্রবেশ সড়কের পাশে করা হয়েছে শেখ রাসেল শিশু পার্ক।
দর্শনীয় বস্তুঃ
প্রদর্শনী কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানা পর্যায়ের আলোকচিত্র ছাড়াও রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা শিল্পকর্ম।এ ছাড়া মুক্তিসংগ্রামের নানা পর্যায়ের দেশ ও বিদেশ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্র। বঙ্গবন্ধুকে যে কফিনে করে ঢাকা থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেটিও সংরক্ষণ করা আছে এখানে। দর্শনার্থীরা এখানে এসে এসব দৃশ্য দেখে আবেগ আপ্লুত হন।
প্রবেশ সময়ঃ
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স খোলা থাকে। আর পাঠাগার খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের পাশেই টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে ‘শেখ রাসেল শিশুপার্ক’।
অন্যন্যা স্থানঃ
সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সই শুধু নয়, এর আশপাশের এলাকায় আরও অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, ছেলেবেলার খেলার মাঠ, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বালিশা আমগাছ, বড়তালাব (পুকুর) শেখ বাড়ি জামে মসজিদ (স্থাপিত ১৮৫৪ সালে ) ইত্যাদি। আছে হিজলতলা ঘাট, যেখানে বঙ্গবন্ধু ছোটবেলায় গোসল ও সাঁতার করতেন।
পদ্মা সেতুর প্রভাবঃ
বিগত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ২৬ জুন থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ঢাকা, চট্টগাম, রাজশাহী, সিলেটসহ, ময়মনসিংহ,নরসিংদিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে।অন্যান্য সময়ের চেয়ে গত দুই বছর দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশ কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ৫ /১০হাজার বঙ্গবন্ধু প্রেমি ও সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে সমাধিতে। শীত কালে এর সংখ্যা আরো বেশী।
দর্শনার্থীদের কথাঃ
রংপুর থেকে আসা মোঃ বেল্লাল হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, এবারই বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে তার প্রথম আসা। পদ্মা সেতুর কারনে তারা সহজে টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পেরেছেন।পদ্মায় ফেরী বা লঞ্চ থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আগে আসা হয়নি। পদ্মায় সেতুর কারনে দলবেধে পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে ও দেখতে এসেছি।
নরসিংদী থেকে আসা মোঃ সাজেদুল ইসলাম, আরিফ হোসেন,শেফালী বেগম বলেন, গাড়ী ভাড়া করে পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসেছি। এখানে এসে সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখলাম খুব ভালো লাগলো।
বেচা বিক্রি বেড়েছেঃ
দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় টুঙ্গিপাড়ায় হোটেল রেস্তরা ও দোকানপাটে কেনাকাটাও বেড়েছে। ভ্যান, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের আয় বেড়েছে। এতে টুঙ্গিপাড়ার অর্থনীতি সরব হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের এলাকার মিনহাজ স্টোরের মালিক কাজী মিরাজ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর আমাদের কোনা বেচা অনেক বেড়েছে।
টি স্টলের মালিক মোঃ টিটু মোল্লা বলেন, আগে সারাদিনে হাজার টাকা বিক্রি হত। এখন বিক্রি হয় ১২থেকে ১৫ হাজার। মাঝে মধ্যে খুব চাপ হয়। ক্রেতাদের মালামাল দিতেই ব্যস্ত থাকতে হয়।
মুদি দোকানী আব্দুর রহিম শেখ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর আমার বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। সারা বছর এমন আয় থাকলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ ভালো থাকতে পারব।
ভ্যান চালক শহীদ শেখ, আফজাল হোসেন, পাভেল শেখ ও অটোরিক্সা চালক হাসান আলী ও দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর টুঙ্গিপাড়ায় মানুষ আসা বেড়ে গেছে। সারা দিনই পাটগাতী থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত যাত্রীর চাপ থাকে। দর্শনার্থীরা আবার ঘুরে ঘুরে সবখানে যায়। আগে প্রতিদিন ৩/৪ শ টাকা আয় করতাম। এখন ১/২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
রেস্টুরেন্ট মালিক কবির উদ্দিন বলেন, এখানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আগের থেকে বেড়েছে। প্রতিদিনই বেচা বিক্রি বাড়ছে। আগের তুলনায় আয় বেশি হচ্ছে।
জনপ্রতিনিধির কথাঃ
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়াও অনেকে বনভোজন ও শিক্ষা সফর করতে প্রতিদিন ভিড় করেন টুঙ্গিপাড়ায়। বিশেষ করে শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষা সফরে আসা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরীত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বহুগুন।বর্তমানে নিরাপত্তাসহ সকল বিষয় দেখভাল করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।আর শীত মৌসুমে এতো কমসংখ্যক লোকবল দিয়ে পরিস্থিতি সামলানো কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন কত দর্শনার্থী সমাধিতে আসেন তা নিদিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন নাম বা সংখ্যা রেজিষ্টার খাতায় তোলা হয়না। আর সিসিটিভি ক্যামেরায় সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন,‘জাতির পিতার সমাধিকে ঘিরে টুঙ্গিপাড়াকে উন্নতমানের পর্যটন এলাকায় রূপান্তরিত করতে ইতোমধ্যে পর্যটন কর্পোরেশন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নতুন প্রজন্মঃ
গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এখানে শিক্ষা সফরে এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছে। যে নেতার আহবানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, তাকে এবং তার স্মৃতিকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের কৌতুহল দেখে মন ভরে উঠে। অনেকের পাঠ্যবইয়ের সুবাদে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা ছিল। এখানে আসার পর তাদের জানা সম্পুর্ন হয়। ছোটবড় সবার প্রিয় বঙ্গবন্ধু। তার সমাধি বা স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তারা বেশ খুশি হয়।
আবাসনঃ
গোপালগঞ্জ উদীচীর সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন,পর্যটনের সম্ভাবনা থাকলেও তেমন কোনও সুযোগ-সুবিধা এখনও টুঙ্গিপাড়ায় গড়ে ওঠেনি। এখানে বেড়াতে বা ঘুরতে আসা অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম মানসম্পন্ন খাবার হোটেল ও পর্যাপ্ত টয়েলেট না থাকা। এ সবকিছুর সমাধান হলে টুঙ্গিপাড়া একটি ভালো পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমি মনে করি।
প্রশাসনের কথাঃ
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন,জাতির জনকের সমাধিকে ঘিরে প্রতিদিন পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর এই সংখ্যা বহুগুনে বেড়ে গেছে। পর্যটন কর্তৃপক্ষ যদি পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তাহলে এখানকার চিত্র বদলে যাবে। সেই সুবাদে পর্যটকের সংখ্যাও দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে তৈরি হবে কর্মসংস্থান, বাড়বে পর্যটন ব্যবসার পরিধিও।
তিনি আরো বলেন,এছাড়া প্রতিদিনই মন্ত্রী, এমপি, সচিব, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুজিব আদর্শের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসেন। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। ঘুরে ঘুরে দেখেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি। আর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দর্শনার্থীরা বেশী আসছেন।
উল্লেখ্য একসময় টুঙ্গিপাড়া গ্রামটি পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ছিল। এখন টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদর। এই টুঙ্গিপাড়াতেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে মৃত্যুহীন প্রাণ নিয়ে জন্মমাটি টুঙ্গিপাড়ায় ফিরে আসেন তিনি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply