বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে কৃষক! মাঠে নারী শ্রমিক

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩, ৫.৪৬ পিএম
  • ২৮৭ Time View

কালের খবরঃ

চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ভালো হলেও কাটতে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন গোপালগঞ্জের কৃষকরা। দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক না পেয়ে বাধ্য হয়ে পরিবারের পুরুষ ও নারী সদস্যরা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। তাতে খরচ বেড়ে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা তাদের।আর কৃষি বিভাগ বলছে দেশ ব্যাপী ধানকাটা এক সঙ্গে শুরু হওয়ায় কৃষি শ্রমিকের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পায়।

 গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী গ্রামের বাসিন্দা নাজমা বেগম। তাকে দেখা গেছে নাতনী হাসনা খানমকে সাথে নিয়ে জমিতে ধান কাটতে।শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশী হওয়ায় তারা কষ্ট করে জমিতে ধান কাটছেন।অধিকমূল্যে শ্রমিক নিলে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে এই আশঙ্কায় নিজেরাই কষ্ট করে ধান কাটছেন বলে কালের খবরকে জানান।

টুঙ্গিপাড়া শ্রীরামকান্দি গ্রাম থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী গ্রামে ধান কাটতে এসেছেন মোহাম্মদ আলী । ভোর ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ধান কাটার কাজ করে দিনে ৯ শ টাকা মজুরি পান।সাথে দু’বেলা খাবার। উচ্চমূল্যের বাজারে গৃহাস্থরা এই পারিশ্রমিককে বেশি বললেও এ উপার্জনে তাদের সংসার চলে কষ্টে।

 ধান উৎপাদনকারী শ্যামল বালা বলেন, ধান কাটার পুরো মৌসুম চলছে। চাষাবাদের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম। চাষাবাদ ঠিকঠাক করতে পারলেও ধান কেটে ঘরে তোলা শ্রমিক সংকট ব্যাপাক আকার ধারন করেছে।শ্রমিক সংকটের কারনে আগামীতে চাষাবাদ বন্ধ করে অন্য কিছু করতে হবে। শ্রমিক সংকটের কারন হিসেবে তারা দেশের যুব শ্রমিকদের বিদেশ গামীতাকে দায়ী করেছেন।

গোপালগঞ্জ জেলার চাষযোগ্য জমিগুলো নিম্ম অঞ্চল হওয়ায় এখানে ধান কাটাতে হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করতে সমস্যা হয়। তাই বাইরের জেলার কৃষি শ্রমিকরা এখানে এসে ধান কেটে দেন। শ্রমিক সংকটকে পুজি করে শ্রমিকরা আগের তুলনায় মজুরি বেশী নিচ্ছেন। কিছু কিছু স্থানে যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটা হলেও মাড়াই করতে হয় শ্রমিক বা নিজেদের।অধিকমূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়ে লোকসানের আশঙ্কা করেছেন মান্দারতলা এলাকার কৃষক মদন বিশ্বাস।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের সরদার শ্রমিক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এবছর জেলায় উচ্চ ফলনশীল ও উপসি জাতের ৮১ হাজার ২২৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে।বাকী ধান আগামী সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের গোলায় উঠবে।তবে কৃষক সংকটের কারন হিসেবে তিনি মনে করেন দেশ ব্যাপী একই সঙ্গে ধান কাটা ম্যেসুম শুরু হওয়া।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION