মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

পিতৃভূমি কোটালীপাড়ায় শিল্পী মোহিনী চৌধুরীর দুই পুত্র

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩, ৪.৪২ পিএম
  • ১৩৯ Time View

কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ

‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে, কত প্রাণ হল বলিদান’, ‘পৃথিবীর আমারে চায়, রেখোনা বেঁধে আমায়’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও চিত্রপরিচালক মোহিনীর চৌধুরীর দুই পুত্র এখন তাদের পিতৃভূমি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অবস্থান করছে।

মোহিনীর চৌধুরী দুই পুত্র বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার ভবিষ্যৎ চৌধুরী এবং চিত্রপরিচালক দিগ্বিজয় চৌধুরী সোমবার ( ১০ এপ্রিল) কোলকাতার বেহালা থেকে নিজ পিতৃভূমি কোটালীপাড়ায় এসে পৌছায়। এখানে আসার পর এই দুই গুনী ব্যক্তির কাকাতো ভাই শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর গৌরাঙ্গ লাল চৌধুরী তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়।

এদিকে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ভবিষ্যৎ চৌধুরীর ও দিগি¦জয় চৌধুরী কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরার কার্যালয়ে বসে মোহনী চৌধুরীর ১১০টি গান নিয়ে লেখা ‘মোহিনীর গানের মেলা’ বইটি কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন।

এরপর ভবিষ্যৎ চৌধুরীর ও দিগ্বিজয় চৌধুরী তাদের পৈতৃক ভিটা উপজেলার ডহরপাড়া গ্রাম ও উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে দেখেন।

চিত্রপরিচালক দিগ্বিজয় চৌধুরী বলেন, ১৯৪৭ সালের ভারত বর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল যোদ্ধাকে আমার পিতা মোহিনী চৌধুরীর গানে যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিন। ঠিক একই ভাবে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই আমার পিতার লেখা গানে স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ হলেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, অনেক দিন পরে আমরা দুই ভাই আমাদের পিতৃভূমিতে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। এখানের মানুষদের আচার আচরণ ও ভালোভাসায় আমরা মুগ্ধ হয়েছি।

কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও চিত্রপরিচালক মোহিনী চৌধুরীর মতো গুনী ব্যক্তির জন্ম আমাদের এই কোটালীপাড়ায়। এ জন্য আমরা গর্বিত। এই মহান ব্যক্তির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য কোটালীপাড়ায় তার নামে একটি সঙ্গীত একাডেমি করার চিন্তা ভাবনা করছি।

উল্লেখ্যঃ মোহিনী চৌধুরী ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মতিলাল চৌধুরী ও মাতা গোলাপকামিনী চৌধুরী। দেশ বিভাগের আগে তিনি সপরিবারে কোলকাতা চলে যান। ১৯৮৭ সালের ২১ মে কোলকাতার বেহালার ইউনিক পার্কের নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION