কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দুই দিন ব্যাপি পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে উপজেলা প্রশাসন ও শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিক চত্ত্বরে এ পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় চলে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায়, শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ ভাবুক, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসবে মোট ৯টি স্টল বসে। স্টলগুলোতে চিতই, ভাপা, পুলি, নারকলের তক্তি, খাঁজা পাকন, নারকেল নাক, শিমফুল, চাঁন্দোসা, সবজি কুলি, তারা, কলা, কাঁঠাল, পাটি সাপটা, বৈশাখী, আঙ্গুরী, সংসারী, লবঙ্গসহ প্রায় শতাধিক প্রকার পিঠা রয়েছে।
কবি মিন্টু রায় বলেন, এক দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যদিকে পিঠা-পুলির আয়োজন। এই দুই আয়োজনে বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো শিল্পকলা একাডেমির চত্ত্বর। এটি সত্যি মনোমুগ্ধকর।
রোভার স্কাউট লিডার অমিত হাসান বলেন, আমরা রোভার স্কাউট থেকে পিঠা-পুলির বিক্রির একটি স্টল দিয়েছি। আমাদের এই স্টলে ৫০ প্রকারের পিঠা রয়েছে। আমরা সকল শ্রেণির ক্রেতার কথা চিন্তা করে প্রকার ভেদে এক একটি পিঠা ৫টাকা থেকে ২০টাকা নির্ধারণ করেছি।
পিঠা উৎসবে আসা গৃহবধু জেসমিন বেগম বলেন, আমি এখানে এসে অনেক ধরনের নতুন নতুন পিঠা দেখলাম। এখান থেকে কিছু নতুন পিঠা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে গেলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এই পিঠা উৎসব আমাদের লোকজ সংস্কৃতিরই একটি অংশ। এই শীত মৌসুমে আমাদের গ্রাম বাংলার বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরি আয়োজন করা হয়। আমরা এবছর সম্মিলিত ভাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। সাথে রয়েছে বাড়তি আয়োজন হিসেবে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তিনি আরো বলেন, এ বছরই প্রথম আমরা এই উপজেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। প্রথম দিনে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এভাবে ভিড় থাকলে আমাদের এই উৎসব আরও একদিন বাড়তে পারে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply