কালের খবরঃ
সারাদেশে শৈত্য প্রবাহের কারণে গোপালগঞ্জেও তীব্র শীত অনুভুত হয়েছে। শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের জনজীবন। জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রচন্ড শীতের পাশাপাশি হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হয়ে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে চারদিক। গত চারদিন গোপালগঞ্জের আকাশে সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। রাস্তায় বা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় খড় বা কাগজ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহাতে দেখা গেছে।
অপরদিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গীরোডে, পুরাতন বাজার এলাকায় ভ্যান গাড়ীতে বিক্রি হচ্ছে শীত নিবারনের জন্য গরম কাপড়। এছাড়া বাজার এলাকায় অস্থায়ী ভাবে নিক্সন মার্কেট নামে একটি মার্কেটও বসানো হয়েছে। এসব স্থান ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারী) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার ছিল একই তাপমাত্র। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান। তবে বুধবার থেকে কুয়াশা কেটে যাবে বলে আসা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শীত মৌসুমে গোপালগঞ্জে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাতে ও ভোরে ঘন কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্র একটু বাড়ছে। দুপুর আড়াইটা পর ২/৩ ঘন্টা সূর্যের দেখা মিললেও শীত কিন্তু কমছে না। ঠান্ডা বাতাসের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
এদিকে শীত ও কুয়াশার কারনে কৃষক জমিতে নামতে পারছেন না। ব্যহত হচ্ছে চাষাবাদের। কৃষি বিভাগের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় জানিয়েছেন গোপালগঞ্জে যে তাপমাত্র বিরাজ করছে তাতে বীজতলা বা সবজির কোন ক্ষাতি হয়নি। এরকম অবস্থা আরো কিছুদিন চলতে থাকলে ধানবীজতলা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply