কালের খবরঃ
বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের কল্যাণে গুরুত্বপুর্ণ ও গৌরবোজ্জল ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরুপ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর হাইশুরের বিশ্ব মানব সেবা সংঘ(বৃদ্ধাশ্রম)এর পরিচালক আশুতোষ বিশ্বাসকে জাতীয় মানবকল্যাণ পদকে ভুষিত করা হয়েছে। সোমবার ( ০২ জানুয়ারী) জাতীয় সমাজসেবা দিবস ও জাতীয় মানবকল্যাণ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত ২০২১ সালের সম্মাননাপত্র প্রদান করেন।রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য রাশেদ খান মেনন এমপি প্রমূখ।
আশুতোষ বিশ্বাস তার প্রতিকৃয়া ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে চলছে আমার এই কার্যক্রম। ২৬ বছর পর সরকার আমাকে আমার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ জাতীয় মানবকল্যাণ পদকে ভূষিত করেছেন। এ জন্য নিজেক্যে ধন্য ও গর্বিত মনে করছি।
উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর চান্দার বিলে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক বৃদ্ধা মহিলাকে। তার কোন ঠিকানা পরিচয় না পেয়ে সমাজের লোক বৃদ্ধাকে লালন পালনের দায়িত্ব দেয় আশুতোষ বিশ্বাসকে। দেড় বছর বয়সে বাবা-মা হারানো আশুতোষ বৃদ্ধাকে মাতৃজ্ঞানে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। সেই ভালোবাসা থেকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিতে থাকেন অনাথ বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের। এতে আস্তে আস্তে আশুর বাড়িতে অনাথদের আশ্রয় বাড়তে থাকে। নিজের থাকার ঘরগুলো রুপ নেয় বৃদ্ধাশ্রমে।
নিজের জমির ধান আর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীর বেতন দিয়েও চালাতে থাকেন তাদের খাবার।এভাবে যখন চলতে কষ্ট হচ্ছিল তখন কোন উপায়ন্ত না পেয়ে হাটে-বাজারে হারমনিয়াম নিয়ে গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ আর অন্যের বাড়ির রান্না খাবার চেয়ে এনে চালাতে থাকেন আশ্রিতদের খাবার। তার অক্লান্ত পরিশ্রম আর সেবায় ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে সমাজের পথে প্রান্তরে পড়ে থাকা বেশ কিছু অসহায় বৃদ্ধ মানুষ। জীবনের শেষ প্রান্তে আশা এসব মানুষের এমন আশ্রয় যেন শান্তির নীড় হয়ে উঠেছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply