বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

খাটরা কালিবাড়িতে বসেছে লক্ষী প্রতিমার হাট, ঘরে ঘরে হবে পূঁজা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮.১৯ পিএম
  • ১৭৫ Time View

কালের খবরঃ

গোপালগঞ্জ শহরের সার্বজনীন খাটরা কালীবাড়ীসহ জেলার বিভিন্ন্ স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট। হিন্দু শাস্ত্রমতে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। তাই নানা আনুষ্ঠানিকতায় এ পূঁজা উদযাপন করে থাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

এবারের কোজাগরী লক্ষীপূজা পড়েছে (৯ অক্টোবর, রবিবার। পূর্ণিমার শুরু হবে রবিবার দুপুর ৩টা ৪১ মিনিটে। শেষ হবে পরের দিন সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পঞ্চমী তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করবেন গোপালগঞ্জের হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। শুধু শহর নয়, গ্রাম পাড়া বা মহল্লার  সকল হিন্দু বাড়িতে এ পূঁজা অনুষ্ঠিত হবে।

গোপালগঞ্জের হাজার হাজার সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়িতে মন্ডপ তৈরী করে এই পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিটি মন্ডপের জন্য একটি করে লক্ষ্মীমুর্তি স্থাপন করা হয়।এ উপলক্ষে জেলা শহরের গোহাটা সার্বজনীন কালীবাড়ীসহ জেলায় প্রায় দুই শতাধিক স্থানে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট বসেছে। আবার কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে মূর্তি বেচাকেনা করছেন। যে যার পছন্দ মত প্রতিমা কিনছেন। ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে দেড়শ’ টাকা এবং  বড় প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। যে যার সাধ্য মত কিনছেন প্রতিমা। পাশাপাশি পূঁজার উপকরণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে নলডুগনি লতা, কলাগাছ, হলুদগাছ, পদ্ম ফুল ও শোলার মালা।এই হাটে প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রতিমা বিক্রি হয়ে থাকে। তাতে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার প্রতিমা বিক্রি হয়ে থাকে।

গোপালগঞ্জ শহরের বটতলা রোডের প্রত্যাশা মন্ডল, মিয়াপাড়ার শ্যামলী রায় ,কল্পনা সাহা, ডিসি রোডের হারধন সরকার, ত্রিনাত সরকার ও মহাদেব সরকার বলেন, আমরা প্রতিবছর এই হাট থেকে প্রতিমা কিনে থাকি। তবে এবছর মানুষের ভিড় কম দেখতে পারছি।      এছাড়া পূজাঁর অন্যান্য উপকরণ কিনেছি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামের প্রতিমা শিল্পী শ্যামল কান্তি পাল, শ্রীবাস পাল যোগেশ চন্দ্র পালের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রতি বছর আমরা লক্ষ্মীপূঁজার জন্য প্রতিমা তৈরী করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকেররা বাড়িতে এসে প্রতিমা কিনে নিয়ে যায়। আবার জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করি। কেনা-বেচা একটু কম।তবে দাম আগের মতোই রেখেছি।পূজার সময় কিছু আয় রোজগার হয়। বাকি সময়তো বসেই কাটাতে হয়। গত দুই বছর করোনার কারনে কোন মেলা করতে পারিনি। খুব সমস্যার মধ্যে ছিলাম। পূঁজো হওয়াতে কিছু আয় রোজগার হলো।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION