কালের খবরঃ
জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোপালগঞ্জে পরিবহন সেক্টরসহ হাট বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকাগামী পরিবহনের টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। লোকাল বাসের ভাড়াও প্রতিস্টেশনের জন্য ৩ থেকে ৫টাকা বাড়ানো হয়েছে। তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির খবর শুনে গত শুক্রবার রাতেই যানবহনের মালিক ও মটর সাইকেল চালকরা ভীড় করেন জেলার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনগুলোতে। মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরপর বেশ কয়েকটি ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। আবারকেউকেউ রাত ১২টার পর ফিলিয় স্টেশন খুলে বসে।
গোপালগঞ্জ শহরের সজিব বিশ্বাস বলেন, পেট্রোল অকটেনসহ জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে এমন খবর শুনে রাত সাড়ে ১০ দিকে শহরের ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলের জন্য অকটেন সংগ্রহ করতে যাই। কিন্তু আগেই ফেলিং স্টেশন মালিক ও কর্মচারীরা মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে নিশ্চিত হয়ে পাম্প বন্ধ করে চলে যান। সকালে আমার বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে। এতে মজুদদাররা লাভবান হয়েছে। বিপদে পড়েছি আমরা যারা সাধারন মানুষ।
শুধু সজিব বিশ্বাস নয় গোপালগঞ্জ শহরের হুসাইন আহম্মেদ , মিরাজুল ইসলাম, দিপক মন্ডল, টুঙ্গিপাড়ার আমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানিয়েছেন, হুট করে এমন সিদ্ধান্ত দেয়া ঠিক হয়নি। জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য কার্যকর করায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারন মানুষ।
গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা ইফতেখার আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে গুলিস্থান থেকে গোপালগঞ্জ এসেছি সাড়ে চারশত টাকায়। সকালে ঢাকা যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডে আসলে কাউন্টার থেকে জানানো হয় তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস মালিকরা প্রতিটিকিটে পঞ্চাশ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে পাঁচশত টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হয়েছে।
ফিলিং স্টেশনগুলোর ম্যানেজার ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, সরকার হঠাৎ করে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করায় তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। অনেকে ঝগড়া বিবাদে জড়াচ্ছেন। অনেকে আবার তেল না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের টিকিট বিক্রিকরা শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহনের ভাড়া প্রতিটিকিটে ৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তিতে সরকার ভাড়া নির্ধারন করে দিলে সেই ভাড়া আদায় করা হবে।
গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কামিল সরোয়ার ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে পূর্বে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি করায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। সরকার যে ভাড়া নির্ধারন করে দিবে আমরা যাত্রীর কাছ থেকে সেই হারে ভাড়া নেবো।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, সরকার তেলে দাম বাড়িয়েছে। এই কারনে পরিবহন সেক্টরে খরচ ও বেড়েছে। পরিবহনের কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ যে সিধান্ত দিবেন এবং সরকার কিলোমিটার প্রতিযে ভাড়া বৃদ্ধি করবে আমরাসেই ভাড়াই যাত্রীদেও কাছ থেকে নেবো।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply