কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদারহাট খালে স্লুইস গেট নির্মাণে কোন নোটিশ ও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ও গাছপালা নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। এতে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জমির মালিকরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে সরকারী জায়াগায়তেই উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার গচাঁপাড়া গ্রামের কৃষকের চাষাবাদের কথা চিন্তা করে ওয়াবদারহাট খালে স্লুইস গেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে খোকন কনস্ট্রাকশন এ কাজ বাস্তবায়ন শুরু করছে। তবে স্লুইস গেট নির্মাণে খাল খনন করতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি।
ক্ষতিগ্রস্থ জামির লিপি সিকদার বলেন, সরকারী জায়গা বাদেও সড়কসহ ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি কেটে ও গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে। কোন ধরনের নোটিশ বা ক্ষতি পূরণ না দিয়েই জমি ও গাছ নষ্ট করা হচ্ছে। বারবার নিষেধ করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কথা না শুনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ভাঙ্গণ দেখা দিলে জমি ও ঘর বাড়ী হুমকির মুখে পরবে।
তিনি আরো বলেন,ঠিকাদাররা কোন কথা না বলে বাঁশঝাড় ও গাছপালা ও বাড়ির জমি কেটে স্লুইস গেট নির্মাণ করছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি এবং আমার স্বামী নিষেধ করা সত্তেও তারা শোনেন নাই। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড যে জায়গা অধিগ্রহণের কথা বলছে সেই জায়গা আমার মালিকানা জমির ভিতর না।
অপর মালিক রানা সিকদার বলেন, এটা আমার নানার জায়গা। বর্তমানে আমাদের দায়িত্বে রয়েছে। নানার মালিকানা জায়গার পরে খাল। সেই খালে কালভাটের কাজ চলছে। আমাদের কিছু না জানিয়ে ইচ্ছামত জায়গা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।আমার কাকা অফিসে গিয়েছিল। কিন্তু ভালো কোন কথা বলেনি।
অপর ক্ষতিগ্রস্থ রাজু আহমেদ বলেন, আমি বালু ভরাট করেছিলাম। সেই বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে বলে পরে আপনাকে বালু ভরাট করে দিব। আমার প্রায় ৩ লাখ টাকার বালু এই ক্ষতি কে পোষাবে। আর একটা বিষয় ভালো মন্দ কিছু না বলে ঠিকাদার জোর করে কাজ করছে। এটা কিভাবে সম্ভব। তাই আমি এই কাজের প্রতিবাদ করছি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খোকন কনস্ট্রাকশন এর প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, জমির মালিক থেকে অনুমতি নেয়ার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কর্তৃপক্ষ আমাদের সিমানা দেখিয়ে দিয়ে সাইড বুঝে দিয়েছে । আমরা সেই ভাবে কাজ করছি। তারপরও যেটুকু ক্ষতি হয়েছে সেটা আমরা পুষিয়ে দেয়ার কথা বলেছি।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহনকৃত জমির মধ্যেই কাজটি চলমান রয়েছে। আর কাজ করতে গিয়ে মালিকানা কিছু জায়গা কাটা পরতে পারে। কিন্তু কাজ শেষ হলে ওই জায়গা সেই ভাবে থেকে যাবে। এছাড়া ওখানে যারা সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল তারাই আজ এই অভিযোগ তুলছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply