কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের জেলার ২২ টি জ্বালানী তেলের পাম্পে তেল সংকট শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আজ মঙ্গলবার অধিকাংশ পাম্পে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যে তেল মজুদ রয়েছে তা সন্ধ্যা নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে গোপালগঞ্জের জ্বালানী তেলের পাম্প গুলো তেলের যোগান না পেয়ে পাস্প গুলো বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে।
গোপালগঞ্জ তেল পাম্প মালিকদের সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জেলার যেসব পাম্প রয়েছে তার অধিকাংশ পাম্পে যে তেল রয়েছে তাতে আর ২/৩ ঘন্টা সরবরাহ করা যেতে পারে।তারপর সব পাম্প বন্ধ করে দিতে হবে।
তিনি আরো জানান, খুলনা ডিপোর মাধ্যমে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ১৬ জেলায় তেলের যোগান দিয়ে থাকে। দুই দিন আগে খুলনা পাম্প শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলি আজিমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তারা তেল সরবরাহ সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়ায় এই সংকাট শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জেলার বেশ কয়েকটি পাম্পের তেল ইতোমধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় তেল নিতে আসা লোকজনকে এক পাম্প থেকে অন্য পাম্পে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি ইরি বোরো মৌসুমের সেচ কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে সব পাম্প বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তেল বিক্রি বন্ধ রাকার জন্য পাম্প মালিকদেরকে অনুরোধ জানিয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদরের নিগি ফিলিং স্টেশন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, পাম্পে যে তেল ছিল তা মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।তেল না আসলে পাম্প বন্ধ করে রাখতে হবে। মাহেন্দ্র ড্রাইভার নাজমুল হোসেন বলেন, পাম্পে তেল নিতে এস তেল পেলাম না। তিনটা পাম্প ঘুরেছি। কোনটাই তেল নাই। এখন অন্য খানে যাচ্ছি।
মোটরসাইকেল চালক মিন্টু মোল্লা বলেন, কোটালীপাড়ায় তেল পাইনি। আসলাম গোপালগঞ্জে। সেখানেও তেল পেলাম না। এখন যদি খোলা বাজারে পাই। তা না হলে গাড়ী রেথে বাড়ি অেন্য ভাবে বাড়ি যেতে হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply