রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান! মিলিছে অনিয়মের সত্যতা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ৬.০৯ পিএম
  • ১৮৯ Time View

কালের খবরঃ

সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে সরকারী অর্থ ব্যয় করে পানির লাইন ও পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ নির্মাণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গোপালগঞ্জের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এদিন ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরেও অভিযান চালানো হয়। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ কায্যালয়ের উপ-পরিচলক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কায্যালয়ের উপ-পরিচলক মো. মশিউর রহমান বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ব্যক্তিগত মালিকানায় নির্মিত সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কে সরকারী কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে পানির লাইন ও পয়: ও পানি নিষ্কাশনে ৩হাজার ১০৬ মিটার দৈঘ্য ৪ইঞ্চি প্লাস্টিক পানির পাইপ দিয়ে ড্রেনেজ নির্মাণ করা হয়েছে।এতে ব্যয় হয়েছে ৪১ লক্ষ ৮হাজার টাকা। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে টিউবয়েল ও ল্যাট্রিন বিতরণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, পানির লাইন সরবরাহে বেশ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিউবয়েল বিতরণে সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশ কয়েকগুন টাকা উত্তোলনের  অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

তিনি আরো বলেন, কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী ইউনিয়নে জেলার সিভিল সার্জনের অজ্ঞাতসারে ২০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়। অর্ধেক বা ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়নি। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৭২হাজার  টাকা। যার মধ্যে বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৮কোটি ১২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা।২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে.টি এমসি জয়েন্টভেঞ্চার)কার্যাদেশ দেয়া হলেও ইতোমধ্যে তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে | ঠিকাদার আলম ও ইঞ্জিনিয়াররা পরস্পর যোগসাজশে কাজ সমাপ্ত না করে মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে বারবার ব্যয় বৃদ্ধি করাচ্ছেন। এতে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস বা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের না জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশলের অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারগণ সরকারের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষতি করছেন। এ ব্যাপারে উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন, মোট পাইপ  লাইন করা হয়েছে ৩হাজার ১৬০ মিটার। এর মধ্যে বেশ কিছু সংযোগ দেয়া হয়েছে এলাকার বিভিন্ন পরিবারে মধ্যে। আর ২৫০ মিটার লাইন করা হয়েছে সাভানা ইকো পার্কের মধ্যে। পাইপ লাইলের প্রতি মিটারের মূল্য ধরা ছিল ১হাজার ৩০০টাক। সেই হিসেবে সাভানা পার্কের মধ্যে ৩২ লক্ষ ৫হাজার টাকার কাজ হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION