কালের খবরঃঅবশেষে রাজনৈতিক হত্যা মামলায় জামিন পেলেন গোপালগঞ্জের আলোচিত যমজ শিশুদের পিতা জামাল মিয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুন এ জামিন মঞ্জুর করেনএরআগে, লিগ্যাল এইডের কৌশলী অ্যাডভোকেট শারমিন জাহান জামাল মিয়ার জামিনের আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট শারমিন জাহান বলেন, আমরা মানবিক বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে দরি। পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুন মানবিক কারণে আসামী জামাল মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, আজই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন জামাল মিয়া।
এরআগে, আজ বৃজস্পতিবার সকালে যমজ দুই কন্যাশিশুর জন্মের এক সপ্তাহের মাথায় মায়ের মৃত্যু। তার কয়েকদিন পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবা কারাগারে। এমন পরিস্থিতিতে আরও এক বোনসহ মোট তিন বোনকে নিয়ে ১৩ বছরের সাজ্জাদ চরম বিপাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন কালের কন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
এমন সংবাদ নজরে আনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে সেই শিশুদের দেখভালে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চান এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শিশুদের খাবার-দাবার ও সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে আদেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনুর আক্তার জামালের বাড়িতে গিয়ে শিশুদের খোঁজখবর নেন।এবং নগদ ১০ হাজার টাকা এবং শিশুদের শোষক দেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় খাদ্য ও শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়েছে। খোজঁখবর রাখা হচ্ছে শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিতও ।
জামিনে মুক্তি পেয়ে জামাল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সকল গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন। আমার পরিবার ও আমাকে নিয়ে যে মানবিক খবর প্রকাশ করেছে তার জন্য আমি সকল গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই।আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নাই। আর দিদির হত্যামালার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।তাই আমাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইলো।
প্রসঙ্গত, এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথি বেগম একসঙ্গে দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর সাত দিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর চার সন্তানের লালনপালন করছিলেন জামাল মিয়া। তার বড় ছেলে সাজ্জাদ এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিদার হত্যা মামলায় জামালকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হলে গত শনিবার জামালকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply