কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি কোটি টাকার যানবাহন চালকের অভাবে গ্যারেজে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। সড়কের প্রয়োজনীয় জরুরী কাজ সারাতে হচ্ছে ভাড়াকরা (বাইরের) চালক দিয়ে। বিদেশ থেকে আমদানীকৃত এসব মূল্যবান যানবান পড়ে থাকায় পুনরায় নিলামের উপক্রম হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বারবার তাগিদা দেয়া স্বত্তেও গোপালগঞ্জের জন্য চালক বদলি বা নিয়োগের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে সড়ক বিভাগের ঠিকাদাররা অফিসের গাড়ি ব্যাবহার না করে বাইরের গাড়ী ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠান লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে খোদ অফিস সূত্রে জানাগেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের যানবাহন শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুক্তেষ বিশ্বাস সূত্রে জানাগেছে, গত ২২-২৩ অর্থবছরে ২০টি গাড়ী বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে র্যাকার ১টি, ওয়াটার ট্যাংকার ১টি, ব্যাক হো লোডার ১টি, ৫টন ট্রাক ৫টি, ৩টন ট্রাক ৩টি, বুল ডেজার ১টি, স্কাভেটর ১টি, এয়ার কমপ্রেসর ১টি,রোড সুইপার ১টি, বিটুমিন ডিট্রিবিউটর ১টি, সয়েল কম্পাকটর ১টি,পেলোডার ১টি, মটরগ্রেডার ১টিও স্টিল রোলার ১টি।
এছাড়া গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের কমকর্তাদের পরিদর্শন, জরুরী মেরামত, সড়ক রক্ষনাবেক্ষন ও ভাড়া দিয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য মোট ৩৪ টি ভারী, মাঝারি ও হালকা যান রয়েছে। এসব যান চালানোর জন্য চালক রয়েছে মাত্র ৫ জন। এদের মধ্যে একজন চালান নির্বাহী প্রকৌশলীর পাজেরা,মেকানিক্যালের পরিদর্শন পিকআপ চালান একজন, পটল রিপিয়ার ট্রাকের জন্য একজন এবং দুইজন চালাচ্ছেন রোলার । বাকি ২৯ টি গাড়ী চালানোর জন্য মাস্টাররোল বা আউটসোর্সিংয়ের কোন ড্রাইভারও নেই। যে কারনে জরুরী প্রয়োজন মেটাতে ভাড়াকরা ও অবসরে যাওয়া ড্রাইভার দিয়ে চলছে ৫ টি গাড়ী। বাকী গাড়ী গ্যারেজে থেকেই দিন দিন পুরনো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক বিভাগে মূলত ৭ জন চালক রয়েছে, গোপালগঞ্জ জোন অফিস ও সার্কেল অফিসে কোন চালক না থাকায় সেখানে ২ জন চালক দেয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজনের ভরসায় আমাদের ৩৪ টি গাড়ী রয়েছে। যে কারনে জরুরী প্রয়োজন মেটাতে ভাড়াকরা ও অবসরে যাওয়া ড্রাইভার দিয়ে চলছে কয়েকটি ট্রাক ও রোলার। এই জেলায় সড়ক বিভাগের রাস্তার নির্মাণ ও সংস্কার কাজে গাড়ীভাড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও চালক না থাকায় ঠিকাদারদের গাড়ী ভাড়া দেওয়া যাচ্ছেনা। যে কারনে গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের যান্ত্রিক শাখার সরকারী রাজস্ব আয় বাড়ছেনা। সকল গাড়ীর জন্য ভারী, মাঝারি ও হালকা চালক থাকলে গাড়ী ভাড়া দিয়ে গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রতি বছরে অন্তঃত ২০/৩০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত চালক ও জনবল বরাদ্ধ দিলে আমাদের আর কোন সমস্যা থাকবেনা। তাতে সকল গাড়িগুলি সচল থাকবে এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের এ সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এমনিতেই আমাদের ড্রাইভার সংকট রয়েছে, এরপর আবার আমাদের অনেক ড্রাইভার অবসরে গিয়েছে। যেকারনে সারা দেশেই ড্রাইভার সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত আমরা জনবল নিয়োগ দিয়ে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply