হৃদয় সরকার, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবীতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ৩ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখে দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কর্মচারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারীরা কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুবকে উদ্ধার করেন।পরে দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কর্মচারীরা করিডোরে শুয়ে পড়ে চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবীতে নানা শ্লোগান দেন। কিন্তু ভিসি তাদের সাথে কোন কথা না বলেও বেরিয়ে যান।বুধবার (১৭ মে) সকাল ১০ টার দিকে চাকুরী স্থায়ী করণের দাবীতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান শেষে ১৩৪জন দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীরা ভিসির কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করেন।
জানাগেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক ১৫২ কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ১৮ জনকে স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। বাকী ১৩৪ কর্মচারী চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবীতে বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। তখন বর্তমান ভিসি এসব কর্মচারীদের স্থায়ীকরণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। কিন্তু বিলম্ভ হওয়ায় তারা এই কর্মসূচী হাতে নেয়।
দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক ঝাড়ুদার রিক্তা বেগম বলেন, বর্তমান ভিসির মেয়াদ ২ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১৮ জনের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। আমরা বাকী ১৩৪ জন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমরা চাই একটি নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের সকলের চাকরী স্থায়ীকরণ করা হোক।
সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা দীর্ঘ ৭/৮ বছর দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কাজ করছি। বিভিন্ন সময় চাকরী স্থায়ীকরণে আশ্বাস দেয়া হলেও কোন কাজ হয়নি। এই ভিসি আসার পর মাত্র ১৮ জনকে স্থায়ী করা হয়েছে। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে আমরা খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছি। আমরা চাই অনতিবিলম্বে আমাদের চাকরী স্থায়ীকরণ করা হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জনাব দলিলুর রহমান বলেন, আমরা উপাচার্য মহোদয়ের রুমে একটা মিটিংয়ে ছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ করে একটা বিকট শব্দ আসে। পরে আমরা দেখলাম দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীদের অধিকাংশই ভিতরে চলে আসেন। তারা কোন রকম লিখিত দাবি জমা দেয়া ছাড়া, কোন রকম নোটিশ ছাড়াই এখানে অবস্থান গ্রহণ করে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply