কালের খবরঃ
৪৬ বছর বয়সী মায়ের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন মেয়ে ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। অতঃপর প্রশাসনের হাতে আটক। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জে। এসএসসি দাখিল পরিক্ষায় ৪৬ বছর বয়সী মা খাদিজা বেগমের হয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে পরিক্ষা দিতে গিয়ে মেয়েকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ওই মেয়েকে একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি এ আদালত পরিচালনা করেন।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারী) গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাশপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী মা খাদিজা বেগম গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছিলো। গত তিনটি পরিক্ষায় তিনি মেয়েকে দিয়েই পরিক্ষা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আতিয়ার রাসুল হিমেল। তিনি জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় আমার কেন্দ্র হরিদাসপুর রয়েল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে দাখিল ভোকেশনাল পরিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পড়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে এক পরীক্ষার্থীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় তার প্রবেশ পত্র দেখতে চাইলে সে সাদাকালো একটি প্রবেশ পত্র দেখায়। পরে ছবির সাথে তার চেহারার অমিল থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এসময় আসল রহস্য বেরিয়ে আসে।এসময় সে জানায় গোপালগঞ্জ শহরের মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী খাদিজা খানমের স্থলে তার মেয়ে সুমাইয়া খানম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। এসময় টাকা পরিশোধ করে অভিভাবকেরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা বড় ধরনের অপরাধ। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এবং ওই শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার সহ তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থী খাদিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েকে দিয়ে দেওয়ানো ভুল হয়েছে। তবে এই বয়সে মনের ইচ্ছা মেটাতেই তার পরিক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION