শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে আন্তজেলা চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে ৩০ দিনব্যপী ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ ১০ ফেব্রুয়ারী বিলরুট চ্যানেলের ৩৬১ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা- জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন টুঙ্গিপাড়ায় ড. ইমদাদুল হক কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন গোপালগঞ্জে ৪ গাড়ির সংঘর্ষ। নিহত ১, আহত ২০ মোরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ ছাত্রের মৃ-ত্যু/ আ-হ-ত অপর বন্ধু আমার টাকাও গেলো স্বামীও গেল! ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে বাঁচবো কোটালীপাড়ায় কবরস্থান থেকে লাশ চুরি ট্রাক কেড়ে নিল শ্রমিকের প্রাণ

ইসরাইলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি আন্দোলনের নামে পোড়াও জ্বালাও করছে- প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২.৫২ পিএম
  • ১৫২ Time View

কালের খবরঃ

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের সফরের শেষ দিনে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মত বিনিময় সভায় তাঁর পুরোনা স্মৃতি রোমন্থন করে বলেছেন, মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে যাওয়ার একেবারেই ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু, তখন কেন যেন যেতে হলো।তারপর ফিরে আসলাম।ফিরে আসাটা কষ্টদায়ক ছিলো।কারণ যেদিন এয়ারপোর্ট ছেড়ে যাই কামাল, জামাল সহ প্রায় সকলেই ছিলো। সেই ‘৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এলাম। কিন্তু অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন,কাউকে পায়নি। বেঁচে গিয়েছিলাম।এটা হয়তো আল্লাহ-র ইচ্ছা ছিলো্।ছিলো বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ। সেদিনও ঝড় বৃষ্টি ছিলো। সেদিন ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশের মানুষই আমার আপনজন, তারাই আমার আত্মীয়। আমি মা-বাবা হারিয়েছি।বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসার ছোঁয়া পেয়েছি। আসার পর থেকে আমার চলার পথ খুব মসৃণ ছিলো না। যে ঘাতকরা আমার বাবা-মাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো তাদের বিচার হবে না। তাদের বিচার থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে। তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরী দিয়ে।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শহীদ উল্লাহ খন্দোকার, আয়নাল হোসেন সেখ প্রমূখ।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭১ সালে যারা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, লুটপাঠ করেছে, নারীদের উপর পাশবিক নির‌্যাতন চালিয়েছে, অত্যাচার চালিয়েছে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন।

যে দেশটাকে আমার বাবা ছাড়া জীবন কষ্ট করে স্বাধীন করে দিয়ে গেলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার  ব্যবস্থা করে। সেই মানুষগুলো জন্য তো কিছু করতে হবে। কারণ জাতির পিতা ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিজয় তুলে এনেছেন। সেই বিজয় ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। কোন এক মেজর  ঘোষণা দিলো আর না কি দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো। জয়বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ করা হলো, ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ করা হলো। এমন কি বাংলাদেশের নামটাও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছিলো।পাকিস্তানের একটি প্রদেশের মতো বাংলাদেশকে পারিচালনা করার পরিকল্পনা ছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখিছি।এই কোটালীপাড়াতেও বিশাল বিশাল বোম মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিলো। মিটিং এ আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এগুলোতে প্রতিনিয়ত। সরাসরি গুলি এই অবস্থার মধ্যদিয়েও আল্লাহ বারবার আমাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।

এরই মধ্য দিয়ে আমরা ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করি। আবার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। ২০০৯ থেকে আমরা এ পর‌্যন্ত একটানা সরকারে আছি।অন্তত আজ এইটুকু বলতে পারি বাংলাদেশটা বদলে গেছে। বাংণাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়েছে এখন আর খাদ্যের হাহাকারটা নেই। খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি। ঠিক যা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা সরকারে থাকতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।

আমরাই তো শ্লোগান তুলেছিলাম আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছি। আর সেই আন্দোলন সফল করতে সরকারে এসে একটানা সরকারে থেকে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নত হয়েছে।

আমরা এখন দেখতে পারছি আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা এদের উপর ভর করেছে। পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটালো, এরচেয়ে জঘন্য কাজ মনে হয় আর হতে পারে না। পুলিশ-একটা গরীব মানুষের ছেলে, একটা চাকরী করে। তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা, সে যখন বেহুশ হয়ে গেছে মৃতপ্রায়, তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপালো, মারলো। কোন দেশে আমরা বাস করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা বিএনপি’র নেতা। কি বিভৎস এরা। এভাবে একটা পুলিশ পিটিয়ে মারলো। অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ ঢুকার পর সেখানে আগুন দিলো। ২/৩ টা অ্যাম্বুলেন্স পোড়ালো। সাধারন রুগী নিয়ে যাচ্ছে সেই অ্যাম্বুলেন্সের উপর তারা আক্রামন করে। রুগীসহ অ্যাম্বুলেন্সের উপর আক্রমন করে বিএনপি। এই হলো তাদের চরিত্র। তাদের উপর মানুষের আস্থা বিশ্বাস থাকবে কি করে। এখন আন্দোলনের নামে পোড়াও জ্বালাও। এদের শিক্ষাটা বোধদয় ওই ইসরাইলের কাছ থেকে নেয়া। যারা প্যালেটাইনের উপর আক্রমণ করছে। হাসপাতালে লাশের স্রোত বয়ে যাচ্ছো গাজায়। এরা মনে হয় ওইখান থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার তারা আউটসোসিং আন্দোলন করে। সমাজের কিছু অবাধ্য লোকজনের হাতে টাকা দিয়ে আগুন দেয়ায়। যুকদলের নেতা নিজে সরাসরি আগুন দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জনগন কিন্তু সচেতন। তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিয়ে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আপনারা জানেন, ২০০৭ সালে আর জীবনে রাজনীতি করবো না তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। সেখানে বসে দেশের মানুষকে হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করে, তখন সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষতায় এসে সেই একই ভাবে এদেশে হত্যাকান্ডের রাজনীতি শুরু করে। পুরোটাই একটা খুনি পরিবার। প্রথম দিকে বিএনপি’র আন্দোলন করায় কিছু মানুষের সমর্থন পেয়েছিলো। কিন্তু সহিংস আন্দোলন করায় মানুষ এখন আর তাদের সাথে নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রায় ঘন্টাব্যাপী বক্তব্যে তিনি বিগত ১৫ বছরের তার ক্ষমতায় থাকাকালীন উন্নয়র নিয়েই কথা বলেন।কোটালীপাড়ার ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে সারা দেশ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, ভাবতে হয়। আমার নির্বাচনী কাজ আপনারাই করে দেন।যে কারনে আমি সারা দেশের মানুষের কথা ভাবতে পারি,কাজ করতে পারি।যার সুফল সারা দেশের মানষ পায়।

কোটালীপাড়ায় মত বিনিময় শেষে তিনি সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া যান।বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিদের সাথে মতবিনিময় সভা করবেন এবং বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION