কালের খবরঃ
উপজেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) থেকে দু’ দিনব্যাপী উপজেলা সাহিত্য মেলা শুরু হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া (জিটি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুপুরে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের মনোনীত প্রতিনিধি মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমীর মহা-পরিচালক জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন ।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুববুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের ,পৌর মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান অসীম কুমার বিশ্বাস সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
দেশের ৬৪টি জেলার ৬৪ টি উপজেলায় উপজেলা সাহিত্য মেলা টুঙ্গিপাড়া থেকে উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ বলেন, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির অমর কবিতার কবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গর্বিত জন্মভূমি থেকে আমরা এই সাহিত্য মেলার শুভ সূচনা করছি। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে ও তৃণমূলের সাহিত্যিকদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে আমাদের এই আয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার প্রথম দিনে লেখকদের নাম নিবন্ধন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা, কবিতা, ছড়া, কথাসাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ-গবেষণা প্রভৃতি রচনার কলা-কৌশল এবং পদ্ধতিগত দিক নিয়ে লেখক কর্মশালা, সাহিত্য পাঠ/সাহিত্য আড্ডা, সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) মেলার সমাপনী দিনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাহিত্য মেলায় প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা, সাহিত্য আড্ডা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন আয়োজন থাকছে। পাশাপাশি মেলার দু’দিন বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ চলমান রাজনীতি বিষয়ে বলেছেন, স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জিয়াউ রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমানের হাতে বন্ধবন্ধুর রক্ত, খালেদা জিয়ার হাতে শেখ হাসিনার রক্ত আর তারেক জিয়ার হাতে আইভি রহমানের রক্ত। একজন মা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে, আর তারই ছেলে বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। কত নিষ্ঠুরতম মা। খালেদা জিয়ার সাথে তার ছোট ছেলে কোকো রহমানের কথা হওয়ার পর ৪ মিনিটের মাথায় মারা গেলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সান্তনা দিতে গেলেন কিন্তু তিনি দরজা খুললেন না। এই হলো তাদের আচরণ। এখন তারা সারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের এক ইঞ্চিও ছাড়া দেয়ার সুযোগ নেই। যেখানেই তারা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিল্প সাহিত্য দিয়ে এদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। যেদিন ভাষার উপর আক্রমণ হলো, সেদিনই সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু হলো। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হবার পর বঙ্গবন্ধু আশংকা প্রকাশ করেছিলেন ভারত বিভক্তির পর আমাদের উর্দুতে কথা বলতে হবে এমন কথা ছিল না। বাংলাতে কথা বলা যাবে না এমন পাকিস্তান হবার জন্য বলা হয়নি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply