টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
রদির জন্যি কিশেনরা কাজ করতি চায়না। যারা কাজ করতি চায় তারা ম্যালা টাহা চায়। আমি গরিব মানুষ, তাই বেশি টাহা দিয়ে আমি ধান কাটতি পারতিছিলাম না। পরে বাড়ির ধারের লোক শুইনে যুবলীগের সেক্রেটারি মাহমুদ বিশ্বাসরে কন। তখন উনি যুবলীগের সবাইরে আইনে ১৬ কাঠা জমির ধান কাইটে ও মইলে দিয়ে যায়। অশ্রুশিক্ত নয়নে একথা গুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনোয়ার মুন্সি।
আনোয়ার মুন্সী আরও বলেন, যুবলীগ ধান কাইটে দেয়ায় ম্যালা উপকার হইছে। ছল মাইয়ে নিয়ে পুরো বছর খাতি পারবো। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের সবাইরে ধন্যবাদ জানাই। রবিবার (৭ মে)সকালে কৃষক আনোয়ার মুন্সির ১৬ কাঠা জমির ধান কেটে মাড়াই করে তার ঘরে উঠিয়ে দেয় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগ।
যুবলীগ নেতৃবৃন্দ জানান, তীব্র গরম ও শ্রমিক সংকটের কারণে আনোয়ার মুন্সি পাকা ধান কাটতে পারছিল না । আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের মূল্য অনেক বেশি। যে মূল্য তার পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিলো না। তাই এ নিয়ে কৃষক আনোয়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। লোক মুখে আনোয়ারের অসুবিধার কথা জানতে পারেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাস। তখন অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে তার ১৬ কাঠা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাস বলেন, নেতা কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে অসহায় কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাই তার নির্দেশ বাস্তবায়নে গত ২৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় যুবলীগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান (নিখিল)।
তিনি আরও বলেন, নেতাদের আহ্বানে সারা দিয়ে উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিচ্ছে। আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে যুবলীগ।
ধান কাটায কর্মসূচীতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের বিশ্বাস, রমজান শরীফ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সজল মাহমুদ, সদস্য দেলোয়ার হোসেন, পৌর যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সহ ২৫ জন যুবলীগ নেতা অংশগ্রহণ করেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply