কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ৩৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বেপারী পট্টির মহিউদ্দিন তালুকদারের হোমিও ঔষধের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ও ঘাঘর বাজারের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় বাবু মোল্লার সুতার দোকান, আব্দুল্লাহ ক্রোকারিজ, এসকেন্দার ফরাজীর মুদি দোকান, উজ্জল মধুর স্বর্ণের দোকান, হানিফ খানের মুদি দোকান, সুজান দাসের হার্ডওয়ার, সোবহান খলিফার মুরগির দোকান, সোহাগ শেখের মুরগির দোকান, অনতোষ বৈদ্যের স্বর্ণের দোকান, উজ্জল পান্ডের হার্ডওয়ার, শহীদ তালুকদারের চায়ের দোকানসহ ৩৪ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুন নিভাতে গিয়ে তাপে হাসান শেখ, আশুতোষ দাসসহ আন্তত ৫জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।কোটালীপাড়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে ঘাঘর বাজারের বেপারী পট্টিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩৪ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
ঘাঘর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, অগ্নিকান্ডে ৩৪জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।এরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন। আমি এই ব্যবসায়ীদের ব্যাংক লোন মওকুফসহ নতুন করে লোন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরে রোববার(২৩ এপ্রিল)সকালে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply