কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীত করনের কাজ চলে ঢিমেতালে। সড়কটি ভেঙ্গে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখায় বিভিন্ন স্থানে সৃস্টি হয়েছে খানাখন্দে। ধুলাবালিতে অন্ধকার হয়ে থাকা সড়কে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালকরা। তাই চরম ভোগান্তীর মধ্যে রয়েছে এই এলাকার মানুষ। আসন্ন ঈদযাত্রায় এই সড়ক দিয়ে যারা বাড়ি ফিরবে তাদের জন্য মোটেও সুখকর হবেনা।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানাগেছে,ঢাকা খুলনা মহাসড়ক হওয়ার আগে গোপালগঞ্জের টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়কটি ছিল ঢাকার সাথে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। তখন সড়কটি আঞ্চলিক সড়ক ছিল। ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই আঞ্চলিক সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তর করে ৩৪ ফুট চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছে।
সূত্রে আরো জানানো হয়,২০২০ সালের জুনে ৬শ ১২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করণের জন্য অনুমোন দেয় একনেক। কিন্তু, দরপত্র আহবানসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয় এবং মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সড়কটির বর্তমান প্রশস্থতা ধরা হয়েছে ৩৪ ফুট। পরে ছয়টি গ্রুপে কাজটি শুরু হলেও ঢিলেঢালা ভাবে সড়কের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন চালক ও যাত্রীরা। প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা। বিশেষ করে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। আর যানবাহন বিকল হয়ে যায়।
গোপালগঞ্জ টেকেরহাট সড়কে লোকালবাস সার্ভিসের চালক আলমগীর হোসেন জানান, গোপালগঞ্জ থেকে টেকেরহাট যেতে যেখানে সময় লাগার কথা ১ ঘন্টা সেখানে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। রাস্তার খারাপ হওয়ায় প্রায়ই গাড়ীর সমস্য হচ্ছে। যা আয় হয় তা আবার চলে যায় গ্যারেজ বিলে। এভাবে চললে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
বোলতলী গ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,এখন ধান কাটার সময়। জমি থেকে ধানকেটে রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে ধান বাড়িতে নিব। কিন্তু রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। চিন্তায় আছি কি করে ধান নিব। তাই সড়কটি দ্রুত ঠিক না হলে আমাদের ভোগান্তী হবে।
কথা হয় ভ্যান চালক সুব্রত বাড়ৈ, অনন্ত মজুমদার, শংকর দাস ও জলিরপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মুকন্দ বৈরাগীর সঙ্গে। তারা জানিয়েছেন সড়কটি সম্প্রসারনের কাজ শুরু করে ফেলে রেখেছে। ধুলেঅ আর গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমাদের দাবী সড়কটি দ্রুত সম্প্রসারণ বা মেরামত করে এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধা করে দেয়া হোক।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি এখন ৪০ শতাংশ। প্রকল্প মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও শেষ হতে ডিসেম্বর মাস লেগে যাবে।
তিনি আরো বলেন,সড়কটি সম্প্রসারনের কাজ শেষ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে। সেই সাথে এলাকার উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজে পরিবহন করতে পারবেন এলাকার মানুষ।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply