কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবীতে পরাজিত তিন সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী মালামাল (ইভিএম মেসিন) আটকে দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর ১০ সদস্যসহ আহত হয় অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে অন্তত ৩জন। এ ঘটনায় সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওসি’র গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার ৫ নং ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী ফলাফলে সদস্য প্রার্থী সাবু মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। পরে নির্বাচনী মালামাল নিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফেরার সময় পরাজিত অপর ৩ প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী নির্বাচন বাতিলের দাবী জানিয়ে তাদের সমর্থকদেরকে সাথে নিয়ে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ শর্ট গানের গুলি চালায়। এতে সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর ১০ সদস্যসহ আহত হয় অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে অন্তত ৩জন।
আহতরা হলেন, সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ (৪৫), এসআই নাজমুল আলম (৩৫), এএসআই আসাদুজ্জামান (৪২), পুলিশ সদস্য রোকন মিয়া (২৮), মুস্তাফিজুর রহমান (৫৫), পারভেজ (৩২), ২৩ আনসার ব্যাটেলিয়ানের সহকারি প্লাটুন কমান্ডার মো. হায়দার আলী (৫৮), আনসার সদস্য সবুজ বালা (৩২), শাওন বিশ্বাস (২২), লক্ষ্মি বিশ্বাস (১৮), এসিল্যান্ডের ড্রাইভার ইব্রাহিম শরীফ (৩৩), গুলিবিদ্ধ কালাম শেখ (৩৫), ইয়াসিন শেখ (২৮), স¤্রাট মোল্লা (৩২)। গ্রেফতার এড়াতে আহত অন্যরা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিণিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
সদর থানার ওসি মোঃ জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় খাইরুল কাজী (২২) ও কালাম শেখকে (৩৫) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply