শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এনসিপি গোপালগঞ্জ কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ মুরাদনগরে গণধর্ষণ, খিলক্ষেতে মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক চালক ও হেলপার নিহত। গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক হেলপার নিহত।চালক আহত কাশিয়ানীতে দেশিয় অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য গ্রেপ্তার মুকসুদপুরে ইয়াবাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কোটালীপাড়ায় ৪০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থী পেল স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স প্রেমের টানে সুদুর চীন থেকে গোপালগঞ্জে ছুটে এসেছেন এক চীনা যুবক, বিয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো সফল প্রেমের গোপালগঞ্জে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড ও ৪ব্যবসায়ীকে ১লক্ষ ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না – ড. আসাদুজ্জামান রিপন

টুঙ্গিপাড়ায় সমলয়ে ধান চাষ পরীক্ষামূলক শুরু! খরচ কমবে অর্ধেক, উৎপাদন হবে বেশী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ১.১০ পিএম
  • ২৬৮ Time View

টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়  যান্ত্রিকীকরণ ও অধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে দেড়শ’ বিঘা জমিতে সমলয়ে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

এই পদ্ধতির চাষাবাদে বীজতলা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই পর্যন্ত যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এই চাষাবাদে কম খরচে কৃষক অধিক ধান উৎপাদন করতে পারবেন। ধানের অধিক ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন। এই চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশ খাদ্য উৎপাদনে আরো সমৃদ্ধ হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।শুক্রবার(১৩ জানুয়ারী) সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে সমালয়ে চাষাবাদের উদ্বোধন করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ার অসীম কুমার বিশ্বাস সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

টুঙ্গিাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, সমলয়ে চাষাবাদে আমরা রামচন্দ্রপুর  গ্রামের ৪৮ জন কৃষককে পরীক্ষা মূলক ভাবে সম্পৃক্ত করেছি। তাদের জমিতে এই পদ্ধতির চাষাবাদ হচ্ছে। চাষাবাদের শুরুতে আমরা ট্রেতে বীজতলা করেছি। প্রতি বিঘায় প্রচলিত চাষাবাদে হাইব্রিড ধানবীজ ৪ কেজি ও উফশী ধানবীজ ৮ কেজি দিয়ে বীজতলা তৈরী করতে হয়। সেখানে সমলয়ে চাষাবাদে বিঘা প্রতি বীজ খরচ অর্ধেকে নেমে এসেছে। বীজে কৃষকের খরচ বেঁচেছে। এই চাষাবাদে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এতে বিঘা প্রতি রোপনে খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা। শ্রমিক দিয়ে ধান রোপন করতে গেলে অন্তত আড়াই থেকে তিনহাজার হাজার টাকা খরচ হত। এছাড়া উইডার মেসিন দিয়ে নিড়ানী দেওয়া হবে। এতে বিঘাপ্রতি মাত্র ২জন শ্রমিক প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে অন্তত ১০জন শ্রমিকের মজুরী সাশ্রয় হবে। এই ধান পাকার পর কম্বাইন্ড হারবেস্টার দিয়ে কেটে মাড়াই করে দেওয়া হবে। এই মেসিন দিয়ে ১ বিঘা জমির ধান কাটতে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হবে। এতে সাশ্রয় হবে অন্তত সাড়ে ৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এই পদ্ধতির চাষাবাদে কৃষকের একর প্রতি অন্তত ১২ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া এই পদ্ধতির চাষাবাদে বিঘা প্রতি হাইাব্রিডে ৩০ মনের স্থলে ৩৫ মন ধান উৎপাদিত হবে। উফশী জাতে ২৫ মনের স্থলে ৩০ মন ধান উৎপাদিত হবে। এই পদ্ধতির চাষাবাদে জমিতে কোন আইল থাকে না। এছাড়া ২০ থেকে ২২ দিন বয়সের ধানের চারা রোপন করতে হয়। তাই ধানের উৎপাদন বেড়ে যায়।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে আইল রয়েছে প্রায় ১২৬ হেক্টর। জমির আইল আনাবদী থাকে। সব জমিতে সমলয়ে চাষাবাদ হলে ওই জমি চাষাবাদের আওতায় আসত। এতে আরো ৭৫৬ মেট্রিক মেট্রিক টন ধান বেশি উৎপাদন হত।এই চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশ খাদ্য উৎপাদনে আরো সমৃদ্ধ হবে বলে ওই কৃষি কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে বীজতলা তৈরীতে অর্ধেক বীজ লেগেছে। এতে বীজ খরচ সাশ্রয় হয়েছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ১ বিঘা জমির ধান আবাদ করেছি। এতে মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ হয়েছে। এই চাষাবাদে খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন ধানের ফলনও ভাল হবে। ভাল ফলন পেলে অধিক লাভবান হবো বলে আশা করছি।

একই গ্রামের কৃষক মহিব শেখ বলেন, নতুন পদ্ধতির চাষাবাদে সবই যন্ত্রের ব্যবহার। এখানে শ্রমিক তেমন লাগে না। ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। তখন শ্রমিককে ১ হাজার টাকা মজুরী দিতে হয়। ধান নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। এই চাষাবাদে অধিক ফলন পেয়ে দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পারব। এতে আমাদের অধিক লাভ হবে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকী করণ করতে চাইছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে শ্রমিক কম লাগে। এছাড়া ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় সমলয়ে চাষবাদ কার্যক্রমের আওতায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতির চাষাবাদে একই জাতের ফসল আবাদ করতে হয়। ম্যনেজমেন্ট ও সেচ-নিকাশ খুব সহজ। ধানের অধিক ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হন। এই পদ্ধতির চাষাবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশের খাদ্য উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION