টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চলতি মৌসুমে বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকায় খুশি উপজেলার বেগুন চাষিরা। এতে একদিকে যেমন কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে আগ্রহ বাড়ছে অন্য কৃষকদেরও। বর্তমানে বেগুন ক্ষেত পরিচর্যা ও তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষাবাদ হয়েছে। গত মৌসুমের চেয়ে এবার প্রায় ২০ হেক্টর বেশি জমিতে বেগুন চাষাবাদ হয়েছে। ভাঙর, বিটি বেগুন ও বারি বেগুন-৫ এই তিন জাতের বেগুনের চাষাবাদ করেছেন উপজেলার ৭৫ জন কৃষক। কৃষি দপ্তর থেকে চাষীদের বিনামূল্যে সার, বীজ, নেট সহ ফল ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা দমনের জন্য ফেরোমন ফাঁদ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ৩৫ টন বেগুনের ফলন হয়েছে। বাজারে কেজি প্রতি বেগুনের খুচরা মূল্য ৪০/৫০ টাকা ও পাইকারি ৩০/৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় ১০/১৫ টাকা বেশি। তাই বেশি দাম পেয়ে খুশি উপজেলার বেগুন চাষিরা। বেগুন চাষাবাদে প্রথমে চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত, পরে সার প্রয়োগ, চারা রোপন, ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন, প্রয়োজন অনুযায়ী বালাইনাশক স্প্রে ও পরিচর্যা করতে হয়। সাধারণত এ অঞ্চলে অক্টোবর মাসে এ জাতের বেগুন চাষাবাদ শুরু করা হয়। ৩০/৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধারনের উপযোগী হয়। এছাড়া ৬০/৬৫ দিনের মধ্যে বেগুন পূর্ণরূপ ধারণ করে। এরপর বাজারে বিক্রি করা হয়।
পাটগাতী ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের কৃষক হানিফ ফকির বলেন, চলতি রবি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বিটি বেগুন চাষাবাদ করেছি। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় লাভ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার, বীজ, ফাঁদ, নেট দিয়েছে। বেগুন চাষাবাদে খরচ কম হয়েছে। এবার বেগুনে বেশ লাভবান হবে মনে হচ্ছে।
কুশলি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুরিয়া মনির মোল্লা ও ফায়জুল মোল্লা বলেন, আমরা দুইজন ২ বিঘা জমিতে ভাঙর জাতের বেগুনের চাষাবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় এবার বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়া বাজারে দাম ও ভালো ।
টুঙ্গিপাড়া কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উঁচু জায়গা নির্বাচন করে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষাবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৩৫ টন ফলন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাজারে পাইকারি ও খুচরা মূল্য ভালো থাকায় কৃষকেরা খুবই খুশি। শুরু থেকে কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে চাষাবাদ সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply