টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ২০২০-২১ অর্থবছরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২০ টি প্রাথমিক ও ১৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও সম্প্রসারণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যায়ে এসব মাঠ বালু দিয়ে ভরাট ও সম্প্রসারণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়। বালু ভরাটের পর উপরে মাটি দিয়ে খেলাধূলার উপযোগী করে তোলা হয়েছে এসব মাঠ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ ছিলো না। আর যেসব বিদ্যালয়ে মাঠ ছিলো কিন্তু খেলাধুলার অনুপযোগী ছিল। ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো। এই কথা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী খেলার মাঠ প্রস্তুতের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্টীয় সফরে টুঙ্গিপাড়া এসে জানতে পারেন অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কোন পরিবেশ নেই। তখন তিনি দ্রুত মাঠ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের টাকা দিয়ে ৩৩ টি বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। এখন সব কয়টি মাঠষেলাধুলার জন্য প্রস্তুত । মাঠ পেয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ব্যাপক আনন্দিত।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নবুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হৃদয় মন্ডল জানিয়েছে, আগে স্কুলে আসতাম আর ক্লাস করে বাড়ি ফিরতাম। স্কুলে খোলার মাঠ না থাকায় বন্ধুদের সাথে খেলতেও পারতাম না। এখন আমাদের খেলার মাঠ হয়েছে। বন্ধুদের সাথে মোড়গ লড়াই, ফুটবল, গোল্লাছুট, কানামাছি খেলি। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পেরে আমি খুবই খুশী।
শুধু হৃদয়ই নয় গোপালপুর ইউনিয়নের রাখিলাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আকাশ মন্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে কোন মাঠই ছিলো না। এর ফলে আমরা খেলাধুলা করতে পারতাম না। এখন মাঠ তৈরি হওয়ায় আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতে পারছি। এতে আমরা আনন্দিত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিদাস বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়টি নিচু জায়গায় হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ে পানি উঠে যেতো। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঠ না থাকায় খেলধুলা করতে পারতো না। এঅবস্থায় পাঠদান করা গেলেও শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ ঘটতো না। মাঠ তৈরির পর এখন শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাও করতে পারছে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ তৈরি ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এতে দৈনন্দিন পাঠক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলার মাঠ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply