সুমাইয়া আক্তার আশা বশেমুরবিপ্রবিঃ
‘সুস্থ মন সুন্দর জীবন’ স্লোগানে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘদিন পর নতুন করে স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং সেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগ। এই নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আশার আলো দেখা দিয়েছে৷ শিক্ষার্থীরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবি পরিসংখ্যান বিভাগের এমন উদ্যোগ একজন শিক্ষার্থীর জীবনে হতাশার গ্লানি মুছে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন কতৃর্ক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাউন্সিলিং গাইড নির্বাচন করা হয়েছে। মাস্টার্স ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষকে গাইড লাইন দিবেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.নিশীথ কুমার, চতুর্থ বর্ষ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গাইড লাইন করবেন সহযোগী অধ্যাপক এস এম নাসিম আজাদ, তৃতীয় বর্ষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গাইড লাইন দিবেন সহকারী অধ্যাপক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, দ্বিতীয় বর্ষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে গাইড লাইন করবেন সহকারী অধ্যাপক ড.রেহেনা পারভীন এবং প্রথম বর্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে গাইড লাইন করানোর জন্য সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাহিদ হাসানকে স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং গাইড হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে পরিসংখ্যান বিভাগের একাডেমিক মিটিংয়ে বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়েছে। নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সহযোগিতা করবে। পড়ালেখা সহ নানাবিধ সমস্যা সমাধানে পরামর্শও পাবে তারা।
দীর্ঘদিন পর স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশা আলো জাগড়িত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন আর পূর্বের ন্যায় কোনো প্রকার হতাশা কিংবা মানসিক কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবেনা বলে জানান তারা। এবিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেজবা রহমান সুপ্ত বলেন, দীর্ঘদিন পর স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং সেবা চালু করা হয়েছে৷ এটি একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারন শিক্ষার্থীরা এ বয়সে এসে পরিবারের দায়িত্ব, চাকুরির চিন্তা, পড়াশোনার চিন্তা সহ আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে নানামুখী হতাশার ভোগে৷ যার ফলশ্রুতিতে একটা সময় সে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। অবশেষে মৃত্যুকে বেঁছে নেয়৷ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরিসংখ্যান বিভাগকে নতুন করে এই উদ্যোগটি গ্রহন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ২০২০সালের পূর্বে বশেমুরবিপ্রবিতে স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং সেবা চালু ছিল তবে দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলিং সেন্টার চালুর দাবী জানিয়েছে আসছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এবিষয়ে এখনও কোনো কার্যকরী ভূমিকা দেখা যায়নি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply